নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

২৪ নভেম্বর ২০২৪

আড়াইহাজারে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নারীকে গণধর্ষণ

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৮:১০, ৩১ আগস্ট ২০২৩

আড়াইহাজারে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নারীকে গণধর্ষণ

আড়াইহাজারে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ২৭ আগস্ট ঘটলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে  আড়াইহাজার থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করে।

ডাক্তার পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতাকে নারায়ণঞ্জের হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকার পঁচিশ বছরের ওই গৃহবধুর ৫ বছর আগে  রাধানগর গ্রামের আঃ লতিফের ছেলে শেখ ফরিদের (৩৫) সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের আগে ওই গৃহবধুর পরিবার জানতো না সে একজন মাদকসেবী।

বিয়ের পর থেকে শেখ ফরিদ মাদকের টাকার জন্য ওই গৃহবধুকে বেধরক মারধর করতো। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশ হলেও শেখ ফরিদ কোন পরিবর্তন হয়নি।

অবশেষে বাধ্য হয়ে ওই বছরই কাজী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি শেখ ফরিদকে তালাক দিয়ে পিতার বাড়িতে চলে আসে। এর এক বছর পর পারিবারিক ভাবে কালাপাহাড়িয়া এলাকার এক যুবকের সাথে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন। 

পরবর্তীতে শেখ ফরিদ ওই গৃহবধুর মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাকে ফোনে ভয়ভীতি দেখানো সহবিভিন্ন সময় হুমকী-দমকী দিতে থাকে।  গত রোববার (২৭ আগষ্ট) সন্ধা ৭টার দিকে বাড়ির পাশের রাধানগর বাজরের ফার্সেসী থেকে ওষুধ আনার জন্য বের হলে রাস্তায় প্রাক্তন স্বামী শেখ ফরিদ দেখতে পেয়ে ডাক দেয়।

ডাকে সাড়া না দিলে শেখ ফরিদ তার মুখ চেপে ধরে তার অন্যান্য সহযোগী রাধানগর গ্রামের আঃ লতিফের ছেলে মোঃ হালিম, নোয়াব মিয়ার ছেলে মোঃ মজিবুর, এসেন মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া ও আফাজদ্দিনের ছেলে আঃ কাদির তাকে উঠিয়ে মেঘনা নদীর ঘাটে নিয়া যায়।

সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিক নৌকার করে মাঝনদীতে নিয়ে জোরপূর্বক তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। স্ত্রী খোঁজে বন্ধুকে নিয়ে ওই রাতেই তার স্বামী নদীর ঘাট এলাকায় গেলে ধর্ষণকারীরা দেখতে পেয়ে তাকে ট্রলারে তুলে নদীর মাঝ খানে নিয়ে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে মাঝ নদীতে রেখে  চলে যায়।

পরে সেখান থেকে এসে স্ত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল থানায় মামলা না করে মিমাংসা করার জন্য  চাপ দিতে থাকে এবং  ধর্ষিতার পরিবারকে নজর বন্দি করে রাখে ।

পরে  ডাক্তারে কাছে যাওয়ার কথা বলে বৃহস্পতিবার এলাকা  থেকে থানায় আসে। ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে ওই দিন দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, মামলা নেয়া হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।