সিদ্ধিরগঞ্জের বিএনপি নেতা এক সময়ের র্যাব-পুলিশের সোর্স, জুয়েল হত্যা মামলার আসামি ও মহাসড়কের চিহ্নিত চাঁদাবাজ আতিক ওরফে টেম্পু আতিক ও সুদ ব্যবসায়ী বিএনপির অর্থ যোগান দাতা আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের বাগানবাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার একটি নাশকতা মামলায় টেম্পু আতিক ও আনোয়ারকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত বছরের ৩০ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় শহরের কালির বাজার এলাকায় মশাল মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার মামলা তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, আতিক ওরফে টেম্পু আতিক এক সময় র্যাব-পুলিশের দুর্ধর্ষ সোর্স ছিলো। এর সুবাদেই আতিক জড়িয়ে পড়ে নানা অপরাধ কর্মকান্ডে। মাদক, দেহব্যবসা, চাঁদাবাজি ও সুদ ব্যবসা করা আতিকের পেশা। সুদে টাকা লাগিয়ে বহু মানুষকে নিঃস্ব করেছে আতিক।
এছাড়াও আতিক বিশ বছর ধরে বিভিন্ন সেক্টরে চাঁদাবাজি করে আসছে। বর্তমানে সে মহাসড়কের আতংক। তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট লেগুনা পরিবহনের মালিক শ্রমিকরা। এরআগে টেম্পো থেকে চাঁদাবাজি করায় তিনি টেম্পো আতিক হিসেবে পরিচিতি পায়।
সোর্স মালেক হত্যা মামলা, মহাসড়কে জ¦ালাও পোড়াও মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি টেম্পু আতিক। সম্প্রতি গত ২৯ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনার মামলায়ও টেম্পু আতিক এজাহার নামীয় আসামি।
আনোয়ার বিএনপির অর্থযোগান দাতা। তিনি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন কর্মসূচীতে অর্থ দিয়ে সহায়তা করে থাকেন। মূলত আনোয়ার সুদের কারবারি। সুদ আদায় করতে গিয়ে নিরহ মানুষের সাথে অমানবিক অত্যাচার করার বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
আইয়ুবনগর বালুর মাঠে গলা কেটে যুবক জুয়েলকে হত্যা করার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আনোয়ার।