নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২২ নভেম্বর ২০২৪

ফতুল্লার “আবজাল” হত্যা মামলার আসামি পেশাদার খুনি চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৭:০৬, ২২ জুলাই ২০২৩

ফতুল্লার “আবজাল” হত্যা মামলার আসামি পেশাদার খুনি চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পেশাদার খুনি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- জেলার ফতুল্লার মাসদাইর, ঘোষেরবাগ এলাকার নিজাম ড্রাইভারের ছেলে রাসেল @ বিয়াইস্তা রাসেল (৩০) ও দেওভোগ (হাসেমের বাগ) এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে রায়হান @ হিটলার রায়হান (২৫)।

 

গ্রেপ্তারকৃত রাসেল @ বিয়াইস্তা রাসেলের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৭টি মামলা চলমান রয়েছে এবং রায়হান @ হিটলার রায়হানের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় দুটি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৫টি মামলা চলমান রয়েছে। তারা উভয়ে ফতুল্লার চাঞ্চল্যকর “আবজাল” হত্যা মামলার পলাতক আসামি। এবং রাসেল @ বিয়াইস্তা রাসেল এ হত্যাকান্ডের মূলহোতা। 


শনিবার দুপুরে র‌্যাব-১১’র মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি নিশাত তাবাসসুম গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আবজাল হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও পেশাদার কিলার গ্রুপের সদস্য, তারা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কিলিং মিশনে অংশগ্রহন করে।

 

শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড মিতালী মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য তাদেরকে ফতুল্লা মডেল থানায় দায়েরকৃত “আবজাল” হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।    


প্রসঙ্গত, হত্যাকান্ডের শিকার “আবজাল প্রধান” একজন সিমেন্ট ব্যবসায়ী। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবজাল প্রধানের সাথে গ্রেপ্তারকৃতদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল।

 

চলতি বছরের ৬ এপ্রিল আবজাল প্রধান প্রতিদিনের ন্যায় ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে দেওভোগ মাদ্রাসা মার্কেট সংলগ্ন হাসেমবাগ যাওয়ার সময় গ্রেপ্তারকৃতরা ও তাদের সঙ্গীয় ১৫/১৬ জন এর একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দল আবজালকে ধারালো অস্ত্রদ্বারা মাথায় স্ব-জোরে আঘাত করে এবং এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে মারাত্মক আহত ও অঙ্গহানী করে পালিয়ে যায়। 


পরে তাকে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে এ নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের নিহতে বাবা বাদী হয়ে ওই দিনই ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলা নং-২৪। এরপর হতে আসামিরা কৌশলে আত্মগোপন করে পলাতক থাকে।