বন্দরে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরী প্রেমিকা(১৩) কে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে দেবাশিস চন্দ্র দাস (২১) ও তার বন্ধু আল আমিন (২০) নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৯) জুলাই দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর পিতা বিজয় কুমার দে বাদী হয়ে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।
গ্রেপ্তারকৃত প্রেমিক দেবাশিস চন্দ্র দে কুমারপাড়া এলাকার মানিক চন্দ্র দাসের ছেলে ও তার বন্ধু আলআমিন জামাইপাড়া এলাকার জাকির খানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়,বন্দর সিরাজদৌল্লাহ মাঠ সংলঘ্ন নাজির কাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বিজয় কুমার দাস বেশ কিছুদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে। পেশায় সে একজন ফুল ব্যবসায়ী। তার বাড়ির পাশেই উজ্জল নামে এক ব্যাক্তির সাউন্ডবক্সের দোকান।
উজ্জলের দোকানে কাজ করত দেবাশিস চন্দ্র দাস নামে এক যুবক। বিজয় কুমার দাসের বাড়ির পাশেই তার শ^শুরবাড়ি হওয়ায় তার কিশোরী মেয়ে তার শ^শুরবাড়িতে আসা যাওয়ার সুবাদে সাউন্ডবক্সের দোকানে কর্মরত দেবাশিস চন্দ্র দাস এর সাথে ওই কিশোরীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়।
প্রেমিক দেবাশিস চন্দ্র দাস তার মোবাইলে ওই কিশোরীর অন্তরঙ্গ মুহুর্তে ছবি উঠিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। পরে লম্পট দেবাশিস চন্দ্র দাস ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১১জুলাই বিকেল ৫টায় তার বন্ধু আলআমিনের সহযোগিতায় জামাইপাড়া টিটু মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়ির ফ্ল্যাটের ৫ম তলায় বসতঘরে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
পরে বিয়ের কথা বললে দেবাশিস চন্দ্র দাস টালবাহানা শুরু করেন। বিয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের চাপ দেওয়া হলেও রাজি না হওয়ায় অবশেষে ওই কিশোরীর পিতা বিজয় কুমার দে বাদী হয়ে ৮দিন পর প্রেমিক দেবাশীষ চন্দ্র দে ও তার বন্ধু আলআমিনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আবু বকর ছিদ্দিক বলেন,এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মামলায় অভিযুক্ত দেবাশিস চন্দ্র দাস(২১) ও তার বন্ধু আল আমিন(২০) কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।