বন্দরে ১৫ বছর বয়সের এক শিক্ষার্থীকে পানির বোতলে নেশার ঔষধ মিশিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে লম্পট দিদার (২৩)কে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
সোমবার রাতে বন্দর রূপালী গরুর হাটে ভলান্টিয়ারের দায়িত্ব পালনকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত ধর্ষক দিদার শাহী মসজিদ এলাকার হেলিম মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পিতা শাহাজামাল বাদী হয়ে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করেন। মামলা নং ৩৩(০৬)২৩ইং।
জানা গেছে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী সোমবার বিকালে বন্দরের রুপালী আবাসিক এলাকায় সংশ্লিষ্ট গরুর হাটে বান্ধবীদের নিয়ে ঘুরতে যায়। ওই সময় তার সাথে গরুর হাটে ভলান্টিয়ারের দায়িত্বে থাকা একই এলাকার বখাটে কিশোর দিদারের সাথে দেখা হয়। অভিযুক্ত দিদার ভুক্তভোগীর আত্মীয়। এ সুবাদে দিদার ওই তরুনীর সাথে ঘনিষ্ট ভাবে কথা বলে।
এক পর্যায়ে কিশোরী পানি খেতে চাইলে দিদার একটু অগোচরে গিয়ে পানির বোতলে করে পানি নিয়ে আসে এবং পানি পান করার পর কিশোরীর মাথা ব্যাথাসহ অস্বস্থি অনুভব হতে শুরু করে। পরে দিদার তার অসুস্থ্যতার দূর্বলতায় তাকে কৌশলে বিভিন্ন রকম আপত্তিকর ছবি মোবাইলে তুলে রাখে।
পরে সে সুস্থ হলে দিদার ছবি গুলো দেখায় এবং ব্লাক মেইলিং শুরু করে। আর এই সুবাদেই দিদার তাকে জড়িয়ে ধরে ও একই দিন সন্ধ্যায়তাকে ছালেহনগর মাজারের নিকট আসতে বলে।
ভুক্তভোগী ব্লাকমেইলের শিকার হয়ে তার কথামত মাজারের সামনে এলে লম্পট দিদার তাকে মটর সাইকেলে উঠিয়ে সাবদী গ্রামের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মূখে ও হাতে কাপড় বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং উল্লেখিত বিষয়ে কাউকে কিছু বললে ছবি বিভিন্ন স্থানে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়।
পরে ওই ধর্ষিতা কিশোরী একাই বাড়িতে এসে তার পিতা-মাতাকে অবহিত করলে রাতেই বন্দর থানায় অভিযুক্ত লম্পট দিদারকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় একটি মামলা রুজু করেন।
মামলার সুত্র ধরে বন্দর থানা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তসলিম বন্দর রুপালী গরুর হাটে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক দিদারকে গ্রেপ্তার করেন।