বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জেলার আয়কর আইনজীবীরা। বুধবার (৭ জুন) নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চল কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রস্তাবিত ট্যাক্স রিটার্ন প্রিপেয়ার (টিআরপি) বিধিমালা বাতিল ও ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাকটিশনার (আইটিপি) নিয়োগ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে কর আইনজীবীদের জন্য জায়গা (বসার স্পেস) বরাদ্দের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ননী গোপাল দাস। সঞ্চালনায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এ বি সিদ্দিক, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক খান, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জলিল দেওয়ান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ বাবুল, সহ-সভাপতি মালিক সোহেল সারোয়ার, অ্যাডভোকেট এস এস এ মনির, মোহাম্মদ আলী খান জিন্নাহ, অমর চন্দ্র সাহা, নাজমুল হক শামীম, প্রনব কুমার রায়, মোহাম্মদ রাকিব হোসেন ও বোরহান উদ্দিন ভূইয়া।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪” এর ধারা ১৭৪ (২) এফ এর প্রোভাইসো ২০০৬ সালে আইন আকারে আনা হয়। যা আয়কর অঙ্গনে সব প্রকার জবাবদিহিতা ও শৃঙ্খলা আনয়নে সব মহলেই প্রশংসিত হয়েছে।
এরই মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এন.বি.আর) ট্যাক্স রিটার্ন প্রিপেয়ার (টিআরপি) নামে একটি বিধিমালা প্রাক-প্রকাশ গেজেট প্রকাশিত হয় যা কার্যকর হলে আয়কর অধ্যাদেশ এর ওই ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে। যা বাস্তবায়িত হলে দেশ ও জাতি তথা রাজস্ব বৃদ্ধিতে কোনোরূপ সহায়ক হবে না বরং ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যা আয়কর আদায়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রস্তাবিত কালো আইন কার্যকর হলে আয়কর অঞ্চলে দুর্নীতি ও অবৈধ প্রতিনিধিত্ব বাড়বে, যা দেশের রাজস্ব আদায় ও বৃদ্ধিতে অন্তরায় হবে।
বক্তারা আরও বলেন, যেহেতু দেশের অর্ধলক্ষ আয়কর আইনজীবী সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে তাই তাদের দ্বারাই করজাল বাড়ানোর জন্য এবং ওই প্রস্তাবিত ট্যাক্স রিটার্ন প্রিপেয়ার (টিআরপি) বিধিমালাটি কার্যকর না করে আয়কর অধ্যাদেশের ওই ধারার অধীনে ইনকাম ট্যাক্স প্রাকটিশনার (আই.টি.পি) বৃদ্ধি করার জন্য প্রস্তাব করছি। এ টিআরপি বিধিমালা বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তারা বলেন, এছাড়া বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন হচ্ছে সারা বাংলাদেশের কর আইনজীবীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন। সারা বাংলাদেশে অর্ধলক্ষাধিক আয়কর আইনজীবী রয়েছে। পৃথিবীর প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে যেখানে বেঞ্চ আছে, সেখানে বার থাকবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এন.বি.আর) জন্য বরাদ্দকৃত ১.৮৮ একর জমি থেকে কর আইনজীবীদের বার ও বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের অফিস ভবন নির্মাণের লক্ষে ১ বিঘা জমি বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।