নারায়ণগঞ্জ সদর থানার হাজীগঞ্জ এম সার্কাস এলাকায় ঐতিহ্যবাহী শাহী জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব কে নিয়ে চলছে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায় গত ৭ বছর আগে বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাশার উক্ত মসজিদের খতিব হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে দাত্বিয় পালন করে আর্সছিলেন।
হঠাৎ কিছু মুসুল্লি আলেমে দ্বীন মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাশার এর খুটিনাটি বিষয়াদী নিয়ে মন্তব্য করা শুরু করলেন, তিল থেকে তাল বানিয়ে মুসুল্লিদের ধর্মীয় অনুভূতির সুযোগ নিয়ে কিছু লোক অধিকাংশ মুসুল্লিদের ঐকবদ্ধ করে অনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে উক্ত আলেমে দ্বীন মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাশারকে মসজিদ থেকে বিদায় করতে বাধ্য করেন মসজিদ কমিটিকে।
শুধু তাই নয় দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী হাজীগঞ্জ শাহী মসজিদে ইমামতী করে মোবাইল রিচার্জ কার্ড বিক্রি করে হাফেজ তাইজুল ইসলাম পেয়েছে লাঞ্চনা পরিশেষে তার বিদায়ও হয় উত্তেজনা হট্টগোল দিয়ে। মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাশার কে যারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বের করেছে মূলত তারাই ঐ কিছু সংখ্যক অসাধু মুসুল্লি ইমাম হাফেজ তাজুল ইসলামকে বের করেছে ।
দীর্ঘ ৬/৭ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর বিভিন্ন মুফতি মাওলানাদের পরীক্ষা নিরূক্ষা করার পরে ২০১৬ সালে হাজীগঞ্জ শাহী জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে যোগদান করেন মুফতি মাওলানা নাজমুল হোসেন।
বর্তমান ইমাম ও খতিব মুফতি মাওলানা নাজমুল হাসান যোগদান করার পর থেকেই ঐ মুষ্টিময় কিছু মুসুল্লির মানষিক প্রবলেম শুরু হয়, মুফতি মাওলানা নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দাম্ভিকতা থেকে শুরু করে ছোট বড় একাধিক অভিযোগ করলেও এর কোন নিদিষ্ট তথ্য প্রমাণাদী নেই।
বিষয় গুলো নিয়ে ঐ মুষ্টিময় কিছু সাধারণ মুসুল্লি ইমাম ও খতিবের পক্ষে গত ২০ মে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ২৫ মে থানায় ২ ঘন্টা বৈঠকের পরেও মিলেনি মিমাংসা আরো তৈরি হয়েছে ভীত দিশাহীন সংশয়।
বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণ মুসুল্লিদের মাঝে চলছে নানা গুঞ্জন ও দুই গ্রুপের মধ্যে টান-টান উত্তেজনা। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহী মসজিদের এক মুসুল্লি বলেন মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর পবিত্র স্থান এগুলো নিয়ে মোটেও বারাবারি ঠিক নয়, এমনেতেই মুসলিমদের প্রতি বিভিন্ন দেশে নির্যাতন, অতএব এই খতিবকে ঐ অসাধু মুসুল্লি গুলো বের করার জন্য উঠে পরে লেগেছে।
তাই সন্দেহের তালিকায় থাকলে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকলে তাকে সম্মানের সহিত চাকুরীচূত্ত করা হউক এতে ঐতিহ্য-বাহী মসজিদের মান সম্মান বজায় থাকবে পাশাপাশি উত্তেজিত দুই গ্রুপের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। নয়তো যে কোন মূর্হতে ঘটে যেতে পারে উত্তেজিত দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আনিচুর রহমান বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই আপনি তদন্ত ওসির সাথে যোগাযোগ করেন তদন্ত ওসি সাইদুজ্জামান বলেন এটা তেমন কোন বিষয় না তাদের মধ্যে মানক্ষুন্ন বিষয় নিয়ে মৌখিক তর্ক হয়েছে এস আই মিজান বিষয়টি দেখছেন।
