বন্দরে বিয়ের নাটক সাজিয়ে ভূয়া কাবিন দেখিয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লম্পট ধর্ষক ও কাজীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে ধর্ষন কাজে সহয়তাকারি নূর আলম (৩৪)।
মঙ্গলবার (৯ মে) ভোর রাতে বন্দর উপজেলার বালিগাও এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ধর্ষক বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বালিগাও এলাকার আউয়াল মিয়ার ছেলে ধর্ষক শাহ আলম (৩২) একই এলাকার মৃত কফিল উদ্দিন মিয়ার ছেলে গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকের পিতা মো. আউয়াল (৫২) ও তার দুই ছেলে আলম (৩১) ও নূর আলম (৩৫) সহ একই এলাকার মৃত জামান মিয়ার ছেলে ভূয়া বিবাহের কাজী নাসির উদ্দিন (৪৫)।
গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে ওই মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার ( ৮ মে) রাতে ভূক্তভোগী গামেন্টর্স কর্মী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বিজ্ঞ আদালতে নির্দেশে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২১ (৫)২৩।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সদর থানার হরিন্দ্রাবাড়িয়া এলাকার ওহাব খানের (২৪) বছরের যুবতী মেয়ে বন্দরে কেওঢালাস্থ অলেম্পিক বিস্কুট ফ্যাক্টরী সংলগ্ন এক বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে একই থানার দেওয়ানবাগ এলাকায় অবস্থিত ইউনাইটেড গামেন্টর্সে দীর্ঘ দিন ধরে চাকুরি করে আসছে।
একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করার সুবাদে বন্দর উপজেলার বালিগাও এলাকার আউয়াল মিয়ার ছেলে শাহ আলমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সর্ম্পক স্থাপন হওয়ার এক পর্যায়ে শাহ আলম মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে।
পরে র্গামেন্টর্স কর্মী যুবতী শাহআলমকে বিয়ের জন্য চাপসৃষ্টি করলে এক পর্যায়ে শাহআলম স্থানীয় মুছাপুর ইউনিয়ন নিকহ রেজিস্ট্রার কাজী ও মালিবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক নাসির উদ্দিনের মাধ্যমে একটি ভূয়া কাবিনে বিবাহ সম্পর্ন করেন।
কাজীর ভূয়া কাবিন ও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের অভিযোগ এনে ধর্ষিতা গামেন্টর্স কর্মী বাদী হয়ে আদালতের নির্দেশে ব ধর্ষক ও ভূয়া বিবাহের কাজীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানিয়েছে, বন্দর উপজেলার বালিয়াগাও এলাকার চিহিৃত ভূমিদৎসু কাজী নাসির উদ্দিনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে উল্লেখিত এলাকার শান্তিপ্রিয় সাধারন জনগন। ভূমিদৎসুতা, ভূয়া কাবিনে বিয়ে, শিক্ষার্থী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নাসির উদ্দিন সহকারি শিক্ষক হয়েও সম্প্রতি ৬০নং বালিগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বালিগাও বাইতুল আকসা জামেস মসজিদের মুসল্লীদের যাতায়েতের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয়রা।
ভূমি দস্যু নাসির উদ্দিনের আগ্রাসী কবল থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে ক্ষতিগ্রস্তরা।