ফতুল্লায় পারিবারিক বিরোধের জেরে স্বামী ও স্ত্রীর বাড়ির দুই পক্ষের সংঘর্ষে কাঞ্চন বিবি নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার উত্তর ইসদাইর এলাকায় হাসেম মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ। নিহত কাঞ্চন বিবি (৬৫) জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার চর পোকাড়ঢাল গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী।
ভুক্তভোগী সালমা বেগম জানান, তার মেয়ে বৃষ্টিকে (২২) কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার শাহীন মিয়ার ছেলে ইব্রাহীম (২৮) দুই বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাধ লেগে রয়েছে।
রবিবার দুপুর বারোটার সময় ইব্রাহীম ঘর ভাড়া না দিয়ে বৃষ্টিকে হাসেম মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় রেখে ছয় মাসের সন্তানসহ নিজের কাপড় চোপড় নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সে ধরা পড়ে যায়। পরে ইব্রাহীম বিষয়টি তার মা ও তিন খালাকে জানায়।
এরপর ইব্রাহীমের মা বাবা ও তিন খালা এসে বৃস্টিকে মারধর করার চেষ্টা করলে বৃষ্টির নানী কাঞ্চন বিবি সহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। এ সময় দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
তখন কাঞ্চন বিবি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাঞ্চন বিবিকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে বৃষ্টির স্বামী ইব্রাহীমের দাবি, সে তার বাবা মা ও খালাদের ডেকে এনেছে তাদের স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া বিরোধ মিমাংসা করতে। তারা বাসায় আসায় ইব্রাহীমের শ্বাশুড়ি সালমা বেগম, নানী শ্বাশুড়ি কাঞ্চন বিধি ও বৃষ্টিসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এতে দুই পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ইব্রাহীম, তা মা ওতিন খালাকে আটক করে। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিজাউল হক জানান, কাঞ্চন বিবির পিঠে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারা হয়। এতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।