নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সৎ পিতা আরিফ (৩৫) এর নির্যাতনে আব্দুল্লাহ (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুর বাগানবাড়ি এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্ত সৎ পিতা আরিফকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার কুতুরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে পাঠায়।
এরআগে নিহত শিশুর মা স্বপ্না আক্তার মুন্নি ঘাতক স্বামী আরিফ (৩৫) কে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্রধরে পুলিশ রাতেই সৎ পিতা আরিফকে গ্রেপ্তার করে। নিহত শিশু আব্দুল্লাহ যাত্রাবাড়ি এলাকায় একটি মাদরাসায় পড়াশুনা করত।
নিহতের মা স্বপ্না আক্তার মুন্নি জানান, হত্যাকারী আরিফ তার দ্বিতীয় স্বামী। ৭ বছরের সন্তান আব্দুল্লাহকে মেনে নিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গোপনে আরিফ তাকে বিয়ে করে সিদ্ধিরগঞ্জে বসবাস শুরু করে। এরপর থেকে সে নানা অযুহাতে তাকে ও তার শিশু সন্তান আব্দুল্লাহকে মারধর করতো।
গত সোমবার (২৪ এপ্রিল) শিশু আব্দুল্লাকে আরিফ অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাড়ির সামনে টানানো মইয়ের সাথে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে প্রহার করে তাকে সেখান থেকে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে আবারও আব্দুল্লাহকে দুই পা ধরে শূন্যে ভাসিয়ে রেখে দেয়ালের সাথে অনবরত সজোরে মাথায় আঘাত করতে থাকে।
এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘাতক আরিফসহ মাতুয়াইল মাতৃসনদ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এরপর আরিফ মরদেহ দাফন করার কথা বলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই, হত্যাকারীর দৃষ্টান্তসূলক শাস্তি দাবি করছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম হত্যাকান্ড ও গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আরিফ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।