ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগরে এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। একই সাথে মাদ্রাসা ভাংচুর ও টাকা লুটেরও অভিযোগ উঠেছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে।
চাঁদা দাবি এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে গত শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে বক্তাবলীর কানাইনগরের মারকাযুস সুন্নাহ তৈয়্যবিয়া মাদ্রাসার সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন হামলার শিকার শিক্ষানবিশ আইনজীবী আরিফ হোসাইন।
অভিযুক্তরা হলো, কানাইনগর এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে শরীফ, আজিজ ও শহিদুল্লাহ, একই এলাকার শান্ত, নান্নু মিয়ার ছেলে নাহিদ, মানিকের ছেলে নাজমুল, মিছির আলীর ছেলে হামিম এবং তাদের সহযোগি রাব্বিসহ অজ্ঞাত আরো ১০জন।
এদিকে, হামলায় আরিফ হোসাইন, তার বৃদ্ধ বাবা মো. সোলায়মান, বড় ভাই জামিল হোসেন, ছোট দুই ভাই রাকিব হাসান ও হাফেজ মো. শরীফসহ একই পরিবারের পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়।
অভিযুক্তরা চাঁদা দাবি এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, টেটা, বল্লম এবং লাঠি-সোটা নিয়ে এই হামলা চালায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আহতদের মধ্যে শিক্ষানবিশ আইনজীবী আরিফ হোসেন গুরুতর অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে বক্তাবলীর কানাইনগরের মারকাযুস সুন্নাহ তৈয়্যবিয়া মাদ্রাসার পাশে নিজস্ব জমিতে টিউবয়েল স্থাপন করছিলেন আরিফ ও তার পারিবারের সদস্যরা। এসময় অভিযুক্ত শরীফ তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে।
ঝামেলা এড়াতে অভিযুক্তদের পাঁচ হাজার টাকা চাঁদাও দেয়া হয়। এরপরও হুমকি ধমকি দিতে থাকে অভিযুক্তরা। কিছুক্ষন পর তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, টেঁটা, বল্লম ও লাঠিসোটা নিয়ে আরিফের পরিবারের উপর হামলা চালায়।
এতে আরিফ এবং তার ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী মারকাযুস সুন্নাহ তৈয়্যবিয়া নামক মাদ্রাসার একটি কক্ষ ভাংচুর করে এবং নগদ টাকা লুটে নেয় হামলাকারীরা।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু জানান, ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। সত্য প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।