বন্দরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৬ জনের মধ্যে ৪ জনকে ১ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
রিমান্ড প্রাপ্তরা হলেন, বন্দরের খানবাড়ি এলাকার জুলমত খানের ছেলে কবির খান, সোনারগাওয়ের দমদমা এলাকার মৃত শাহজাদার ছেলে রায়হানজাদা রবি, রূপগঞ্জের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মামুন মীর, বন্দরের চুনাভুরা এলাকার হাবিব ওরফে হাবির ছেলে মনির হোসেন মনা। হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ মইনুল হক পারভেজের ছোট ভাই তানভির আহম্মেদ বাদী হয়ে শুক্রবার বন্দর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫/৩০ জনকে আসামী করা হয়। এ দিকে ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, বন্দরের খানবাড়ি এলাকার জুলমত খানের ছেলে কবির খান, সোনারগাওয়ের দমদমা এলাকার মৃত শাহজাদার ছেলে রায়হানজাদা রবি, রূপগঞ্জের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মামুন মীর, বন্দরের চুনাভুরা এলাকার হাবিব ওরফে হাবির ছেলে মনির হোসেন মনা, বন্দরের ফরাজিকান্দা এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে রণি ও আনিস মিয়ার ছেলে সিয়াম হোসেন।
গ্রেফতারকৃতদের শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় আদালতে ৬জনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদেও আবেদন জানালে আদালত চারজনকে একদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দরের ফরাজিকান্দা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান তৃতীয় সেতু সংলগ্ন একটি বাজারের জমি দখল নিতে অর্ধশতাধিক হোন্ডারোহী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলায় চালায়।
হামলার সময় জাতীয় পার্টির নেতা ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়াত রাইসুল ইসলামে ছেলে মইনুল হক পারভেজ গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় পারভেজের স্ত্রী আবিদা সুলতানা সুমি ও মা মাহফুজা হক আহত হন।