বন্দরে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষনের ঘটনায় বিল্লাল হোসেন (৩৫) নামে এক ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে স্থানীয় এলাকাবাসী। রোববার (১২ র্মাচ) সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর উপজেলার তিনগাও এলাকা থেকে ওই ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৭ র্মাচ) রাত সাড়ে ৯টায় ও রোববার (১২ র্মাচ) সকাল ৭টায় বন্দর উপজেলার তিনগাঁও এলাকায় ওই ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষক বিল্লাল হোসেন সুদূর লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার কালিকাপুর (ভূইয়া বাড়ী) এলাকার মুত ইসলাম মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে বন্দর উপজেলার তিনগাঁওস্থ জনৈক গোপাল মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতা কিশোরীর নানা মো. আবু হানিফ বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক বিল্লাল হোসেনকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৪(৩)২৩। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে দুপুরে নারায়নগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারি পরিক্ষা নিরিক্ষার পর ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম কিশোরী তার নানা বাড়িতে থাকে। নানা প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হলে বিল্লাল হোসেন কৌশলে উল্লেখিত বসত ঘরে প্রবেশ করে। প্রায় ৬/৭ মাস যাবাত নানা ও তার মামা ঘরে না থাকা অবস্থায় লম্পট বিল্লাল হোসেন বাদীর বসত ঘরে এসে তার ১৫ বছরের কিশোরী নাতনীকে বিভিন্ন ধরনে ভয়ভিত্তি প্রদর্শন করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে আসছে।
এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (৭ র্মাচ) রাতে ওই কিশোরী নানা ও তার মামা শবে বরাতের নামাজ পরার জন্য মসজিদে আসলে ওই সুযোগে বিল্লাল হোসেন কৌশলে উক্ত বসত ঘরে প্রবেশ করে বারান্দার রুমে নিয়ে কিশোরী নাতনীকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে।
এ ছাড়াও রোববার (১২ র্মাচ) সকাল ৭টায় বাদী চা দোকানে গেলে ওই সুযোগে লম্পট বিল্লাল পুনরায় বসত ঘরে প্রবেশ করলে স্থানীয় এলাকাবাসী লম্পট বিল্লাল হোসেনকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে।
এ ঘটনায় নানা বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আটককৃত ধর্ষক বিল্লালকে ওই মামলায় রোববার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করে।