সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডে কোনোভাবেই রুখছেনা চাঁদাবাজি। চাঁদাবাজদের র্যাব-পুলিশ একাধিকবার গ্রেপ্তার করলেও কমছেনা তাদের বেপোরোয়া গতি। তারা জেল থেকে জামিনে বের হয়েই শুরু করে চাঁদাবাজি। এ যেনো মহাৎসব, ঘুরবে গাড়ির চাকা দিতে হবে টাকা।
শুধু পরিবহন সেক্টর নয় সড়কের পাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও তাদের রাহুর থাবা থেকে মুক্ত নয়। ফলে চাঁদাবাজদের অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, চোখে কাল চশমা ও হাতে ওকিটকি নিয়ে ঘুরছে এক ব্যক্তি। নাম তার কবির। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ কবির নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে বেড়ায়।
অভিযোগ উঠেছে, র্যাব ও পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে সোর্স কবির, রহিম বাদশা ও কাইল্লা মাসুদের নেতৃত্বে সাইনবোর্ড এলাকায় গড়ে উঠেছে শক্তিশালী চাঁদাবাজ চক্র। চাঁদাবাজ চক্রটি সড়কের উপর অবৈধভাবে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, অটোরিকশা ও সিএনজি স্ট্যান্ড বানিয়ে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছে।
নির্মঠুাধীন ফুটওয়াভার ব্রিজের উপর দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায় করছে র্যাবের সোর্স পরিচয়দানকারী কবির ও রহিম বাদশা। সিএনজি থেকে চাঁদা তুলছে কাইল্লা মাসুদ। মাসুদের সহযোগী হিসেবে রয়েছে কামাল ওরফে সিএনজি কামাল ও মঞ্জু।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে র্যাব চাঁদা আদায়ের অভিযোগে কবিরসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারা সবাই জামিনে বের হয়ে আবার চাঁদাবাজি শুরু করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএনজি, ইজিবাইক ও অটোরিকশা চালকরা জানায়, দীর্ঘ দিন যাবত কবির ও কাইল্লা মাসুদের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি চলছে। তাদের নিয়োজিত লোকজন সিএনজি ও ইজিবাইক থেকে দৈনিক ১০০ টাকা অটোরিকশা থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে।
চাঁদা না দিলে সাইনবোর্ড এলাকায় গাড়ি নিয়ে আসতে দেয়না। শুধু সাইনবোর্ড নয় তারা শিবু মার্কেট পর্যন্ত সড়কের নিয়ন্ত্রন করছে। তাই তাদের চাঁদা না দিয়ে লিংরোডে গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছেনা।
এবিষয়ে সিএনজি মাসুদের কাছে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাক্ষাতে কথা হবে বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। রহিম বাদশা বলেন, আমি আগে টাকা তুলতাম এখন এসবের মধ্যে নাই। কবির বলেন, জেল থেকে বের হওয়ার পর আমি আর চাঁদা নেইনা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। আমি একটি পরিবহনের কাউন্টার চালাই। ওই পরিবহন থেকে ওকিটকি দিয়েছে। এটি টিকিট সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবহন মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করি। অন্য কিছু নয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, কারা চাঁদাবাজি করে তা খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।