নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ৪নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিংয়ে প্রতিনিয়ত ডাকাত আতঙ্কে রাত যাপন করছে হাউজিংবাসী। প্রতিদিন গভীর রাতে ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ীর নির্মাণাধীন রডসহ দামী জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে বেড়েছে চুরি ও মাদক।
সন্ধ্যার পর থেকেই হাউজিং এলাকায় মাদক সেবীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। আবাসিক এলাকাটিতে থানা পুলিশের তদারকি না থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা নিশ্চিন্তে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে দিনদিন এলাকার পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা ও যুবসমাজ।
নাম প্রকাশে কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সন্ধ্যা নামতেই বখাটেদের আনাগোনা বেড়ে যায়। প্রায় রাতে মোটরসাইকেল এবং গাড়ীতে করে লোকজন আসে আবার গভীর রাতে চলে যায়।
হাউজিং এর বাসিন্দারা আরো জানান বেশ কয়েকদিন ধরে ২০/৩০ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাউজিং এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়ীর রড, বিদুৎ এর তার সহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল গাড়ীতে করে নিয়ে যাচ্ছে। বেড়েছে মাদক ব্যবসাও।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় (১ ফেব্রুয়ারি) বুধবার দিবাগত-রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে হাউজিং এর মসজিদে ডাকাত এসেছে বলে মাইকিং করা হয়। ঘোষণা শুনে লোকজন বের হলে ডাকাত দল দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপরও টানা কয়েকদিন বিভিন্ন ভবনের কাজের জন্য রাখা রড নিয়ে যায় ডাকাত দল।
পূনরায় (৭ ই ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার আনুমানিক ভোর ৪ টার দিকে ডাকাত দল হাউজিংয়ে এসে প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়।
হাউজিং এর বাসিন্দারা বলেন এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকায় ভূগছেন তারা। সে সাথে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে হাউজিং বাসী। উপরোক্ত বিষয় গুলোতে নারায়ণগঞ্জের সুযোগ্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন হাউজিং এ বসবাসকারী লোকজন।
নাসিক ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী নুর উদ্দিন বলেন, আটি ওয়াপদা কলোনির চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী সাহেব আলী গংরা হাউজিং এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়ীর মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। সাহেব আলীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে হাউজিংবাসী।
তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ডাকাত সাহেব আলীকে গ্রেপ্তার করার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও র্যাবের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, এসব অপরাধীদের ধরতে আমরা তৎপর রয়েছি। হাউজিংয়ে টহল পুলিশ অভিযান রয়েছে। অপরাধীকে খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।