বন্দরে শেখ রাসেল ক্রীড়া একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের নামে জুয়া খেলা বন্ধের দাবিতে খেলোয়ারকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ধামগড় ইউনিয়নবাসী ব্যানারে মানব বন্ধন করেছে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। গত সোমবার (৩০ জানুয়ারী) বিকেলে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের কড়ইবাগ এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারী ধামগড় ইউনিয়নের বটতলা কেলার মাঠে জুয়া খেলা বন্ধের প্রতিবাদ করায় শামীম নামে এক খেলোয়ারকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় এলাকার সমাজ সেবক লোকমান হেকীমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবক তোফায়েল আহাম্মেদ বাদল, মান্নান ভেন্ডার, সফুর উদ্দীন, শহিদুল্লাহ, আনোয়ার প্রমুখ।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক মিজান, ডাঃ হারুন অর রশীদ, মোঃ বাহাউদ্দিন, মোঃ হান্নান, শফিকুল, নাজমুল, সাইফুল ইসলাম শাহাজাহান, কালাম, আমির হোসেনসহ আহত ক্রিকেট খেলোয়ার শামীমের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব ও স্থানীয় কড়ইবাগ এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী জানান, শেখ রাসেল ক্রীড়া একাডেমীর সভাপতি ও ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান ও স্থানীয় আওয়ামীরীগ নেতা শরীফ হোসেন নিজ এলাকায় বটতলা এশিয়ান ক্লাবের নামে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে।
এ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অন্যান্য দলের ন্যায় কড়ইবাগ লায়ন্সক্লাব খেলায়া অংশ গ্রহন করে। কিন্তু টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি প্রতি রানে জুয়া পরিচালনা করে আসছে।
জুয়ার বিষয় নিয়ে লায়ন্সক্লাবের দলের অধিনায়ক শামীম প্রতিবাদ করলেওই সময় টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি হাবিবুর মেম্বার ও আওয়ামীরীগ নেতা শরীফের হুকুমে স্থানীয় সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলম জীবন, আতাউর রহমান, নিজাম, জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলাম, নজরুল ও ইয়াছিনসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী লোহার রড ও লাঠীসোটা নিয়ে শামীমকে বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় আহত শামীম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেক্য করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থান গ্রহন করেনি।
এ ঘটনায় গত সোমবার বিকেলে স্থানীয় এলাকাবাসী ক্রিকেট খেলার নামে জুয়া খেলা বন্ধের দাবিতে উক্ত এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আহত শামীম কড়ইবাগ এলাকার মৃত আব্দুর রব মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।