সিদ্ধিরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে দুলাভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন শ্যালক হান্নান ওরফে কুসুম (২০)। নিহত হান্নান ওরফে কুসুম (২০) ঝিনাইদাহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার বিন্নি গ্রামের মুকুল হোসেন মন্ডলের ছেলে। তিনি পাঠানটুলি হাতেমের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
এ ঘটনায় নিহত হান্নানের মামা বিপুল হোসেন বাদি হয়ে নিহতের দুলাভাই মো. হাসান (২৬) ও দুলাভাইয়ের বন্ধু মো. রাজন (২৪) এর নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মমলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪৭।
অভিযুক্ত মো. হাসান (২৬) ঝিনাইদাহ জেলার এরিনাকুন্ডু থানর লক্ষিপুর গ্রামের ইনসান বিশ^াসের ছেলে ও মো. রাজন (২৪) ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা থানার দামুকদিয়া গ্রামের মিজু আহম্মেদের ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাজন ও হাসান দুই বন্ধু তারা সিদ্ধিরঞ্জে পাঠানটুলি রেললাইন এলাকায় দেলোয়ার হোসেনের ব্যাচেলর বাড়িতে ভাড়া থাকত পাশাপাশি নিট কনসার্ট গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
হাসান ঝিনাইদাহ থেকে তার শ্যালক হান্নান ওরফে কুসমুকে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে আসে পাঠানটুলি রেললাইন দেলোয়ার হোসেনের ব্যাচেলর বাড়িতে সেখানে রাতে পরিকল্পিত ভাবে হান্নান ওরফে কুসুমকে হত্যা করে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টার সময় হাসানের বন্ধু রাজন একটি এ্যাম্বুলেন্স (ঢাকা মেট্রো ছ-৭১-২১১৭) যোগে হান্নান ওরফে কুসুম এর মৃতদেহ নিয়ে ঝিনাইদাহ বিন্নী গ্রামে হাজির হয়।
এ সময় মৃত হান্নান ওরফে কুসুম এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। এতে তাকে হত্যা করা হয়েছে সন্দেহ হলে তারা হরিনাকুণ্ডু থানায় সংবাদ দেয়।
খবর পেয়ে হরিনাকুন্ড থানার এসআই শ্যামল দত্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন।
মৃত দেহের সুরত হাল রিপোর্ট প্রস্তুত কালে মামলার বাদি বিপুল হোসেনসহ আশে পাশের লোকজন নিহতের ডান আঙ্গুলে রক্তের দাগ, ডান হাতের কবজিতে বাধা দাগ এর চিহ্নসহ খামচানো আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান।
পরবর্তীতে এসআই শ্যামল দত্ত রাজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজন জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ১টার পর হইতে যে কোন সময় সে সহ হাসান রুমের দরজা বন্ধ করিয়া আমার ভাগ্নে হান্নান এর হাত-পা, মুখ গামছা দিয়া বাধিয়া হাতুরি দিয়া আঘাত করে হত্যা করে।
স্থানীয়রা জানান, দেলোয়ার হোসেনের ব্যাচেলর বাড়িতে প্রায়ই জুয়ার আসর বসিয়ে থাকে সুজন, কালাম, রফিক, হাতেম ও রহিম গং। গভীর রাত পর্যন্ত জুয়া খেলা হয়। এর কারণে বিভিন্ন অপরাধীরা এখানে অবাধে বিচরণ করে। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে হান্নান ওরফে কুসমু হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচিত হকে পারে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির জানান, এ মামলায় রাজন নামে এক আসামী ঝিনাইদহ কারাগারে রয়েছে। তাকে আইনের আওতায় এনে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেছি। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।