নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মহাসড়ক অবরোধ ও মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে অটোরিকশা মালিক ও চালকরা। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মহাসড়কের কাঁচপুর ওমর আলী বিদ্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে তারা এ বিক্ষোভ করেন।
এ সময় প্রায় আধাঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন অটোরিকশা মালিক ও চালকরা। এতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয় এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী সাধারণ। পরবর্তীতে সোনারগাঁ থানা পুলিশ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।
অটোরিকশা মালিক ও চালকদের অভিযোগ মহাসড়ক দিয়ে অটো রিক্সা চলাচল করতে হাইওয়ে পুলিশকে তিন থেকে চার হাজার টাকা দেওয়া লাগে। তারা বিভিন্ন সময় জরিমানার কথা বলে রেকার বিলের কথা বলে এই টাকাগুলো নিয়ে থাকে, কিন্তু রিসিপট দেয়না। আজকেও তারা কয়েকজন অটো চালকের কাছ থেকে টাকা দাবি করেছিল। টাকা না দেওয়ায় হাইওয়ে পুলিশ দুইজন অটো চালককে মারধর করে। এর প্রতিবাদে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
মঈনুল ইসলাম নামে এক চালক জানান, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কের নীচ থেকে গাড়ি আটক করে তিন হাজার টাকা করে নেয়। এটাকার কোনো রিসিপট দেয়না। পুলিশে ফর্মারাও ধরে নিয়ে যায়। পরে পাঁচশত ও এক হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
অপর একজন জানান, বর্তমান ওসি নাকি পয়তাল্লিশ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে থানায় আসছে। ওই টাকা তাদের কাছ থেকে তুলে নিচ্ছে। এপর্যন্ত পুলিশ ফর্মা দিয়ে ১৮ টি গাড়ি নিয়ে গেছে। এগুলোর এখনো কোনো সন্ধান মিলেনি।
আজ দুজন ড্রাইভার আমজাদ হোসেন ও শান্ত রুবেলকে বেধড়ক মারধর করে তাদের অটোরিকশা নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদেই আমরা সড়ক অররোধ করে আন্দোলন করছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেমকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলে বাধা প্রদান করায় আজ সন্ধ্যার দিকে ২০/৫০ জন চালক কয়েকটি টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ করে। পরবর্তীতে আমরা তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেই। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।