বন্দরে নিখোঁজ ঘটনার ২ দিন পর অবশেষে ডুবা থেকে অটো চালক মাছুম হাওলাদার (৩৬) এর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত অটো চালকের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী শিরিন বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন । যার মামলা নং ৫(১১)২২।
এর আগে গত শনিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের মোল্লাবাড়ী দিঘীরপাড়স্থ জনৈক আল আমিন মিয়ার বাড়ি থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে ওই অটো চালক নিখোঁজ হয়।
নিহত অটো চালক মাছুম হাওলাদার বাগেরহাট জেলার মংলা পশ্চিম সেলামুনিয়া এলাকার ফজলুল ফরাজি মিয়ার ছেলে। সে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের মোল্লাবাড়ী দিঘীরপাড় এলাকার জনৈক আল আমিন মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে।
মামলার তথ্য ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দিনমজুর মাছুম হাওলাদার দীর্ঘ দিন ধরে বন্দরে মোল্লাবাড়ী দিগীরপাড় এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে। সে পেশায় একজন অটো চালক। প্রতি দিনের ন্যায় গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় সাড়ে ৫টায় কাজের উদ্দেশ্যে ভাড়াটিয়া বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
সে সাথে তার ব্যবহারকৃত ০১৯৯৭৮০৫৮৪৮ নাম্বার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বন্দর থানার কুশিয়ারা এলাকার চন্ডীতলা কবরস্থানের পূর্বপাশে খালের মধ্যে স্থানীয় এলাকাবাসী অজ্ঞাত নামা এক পুরুষের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়।
এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মেরাজুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ওই মৃতদেহটি উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট মর্গে প্রেরণ করে। পরে নিহতের স্বজনরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে নিহতের স্ত্রী শিরিনা বেগম তার স্বামী লাশ শনাক্ত করে।
মামলার বাদিনী জানায়, আমার দিন মজুর স্বামীকে অজ্ঞাত আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে র্নিমম ভাবে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য চন্ডিতলা খালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মেরাজুল ইসলাম জানান, ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা হইতে ৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে যে কোন সময়ে অজ্ঞাত নামা হত্যাকারিরা অটোচালককে হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে চন্ডীতলা খালের ডোবার মধ্যে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। হত্যাকান্ডের কারণ খোঁজে বের করাসহ খুনিদের গ্রেপ্তার জন্য আমাদের তদন্ত ও গ্রেপ্তার অভিযান অব্যহত রেয়েছে।