ফতুল্লার শিয়াচরের বিয়ে পাগল শেখ মোহাম্মদ ইলিয়াস মাদবর ও তার প্রথম এবং দ্বিতীয় স্ত্রীসহ দুই সন্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় স্ত্রী ফাতেমা বেগম লাইলী মামলা করেছেন। শনিবার সকালে টাকা আত্মসাৎ ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন-ইলিয়াস মাদবর তার প্রথম স্ত্রী মিথিলা(৫০), দ্বিতীয় স্ত্রী গোলাপী (৫৫) তাদের বড় ছেলে ছেলে বিক্রম (৩৫) ছোট ছেলে জামিল (৩০)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ফাতেমা বেগম লাইলী (৫১) বরগুনা জেলার আমতলী থানার চওড়া পাতাকাটা গ্রামের হাফেজ মাদবের মেয়ে। সে ফতুল্লার শিয়াচর এলাকার গনি হাজীর বাড়িতে ভাড়া বসবাস করেন। ১৮/১৯ বছর পূর্বে লাইলীর প্রথম স্বামী মারা যায়।
তখন স্বামীর রেখে যাওয়া টাকা দিয়ে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। তখন ফতুল্লার শিয়াচর এলাকার গনি হাজীর বাড়ির মৃত. মজিদ হাজীর ছেলে শেখ মোহাম্মদ ইলিয়াস মাদবরের সঙ্গে লাইলীর পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ে ১৭বছর পূর্বে লাইলীকে চার শতাংশ জমি লিখে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেন ইলিয়াস।
বিয়ের পর তার কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ ১৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে ইলিয়াস। এ টাকা ও স্বণালংকার চাইতে গিয়ে ইলিয়াসের হাতে কয়েকবার মারধরসহ নির্যাতের শিকার হতে হয় লাইলী।
এরমধ্যে ৩১ অক্টোবর রাত ১১টার সময় ইলিয়াস তার প্রথম দ্বিতীয় স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে লাইলীর বাসায় গিয়ে এলোপাথারী মারধর করে তার ঘরের আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর তারা যাওয়ার সময় প্রান নাশের হুমকি দিয়ে যায়।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।