গত অক্টোবর মাসে বন্দরে আইন শৃঙ্খলা ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। গত মাসে ৩১ দিনে বন্দর থানায় বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে ৩৮টি।
এর মধ্যে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে ৩টি, ধর্ষণ মামলা ২টি, গণধর্ষণ মামলা ১টি, অপহরণ ২টি, চুরি ৬টি, দ্রুত বিচার আইনে ১টি, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ১টি, মাদক মামলা ১২টি ও অন্যান্য মামলা দায়ের হয়েছে আরো ১০টি।
গত অক্টোবর মাসে ৩৮টি মামলার মধ্যে ১২টি মামলা হয়েছে মাদকের। এই থেকে বুঝা গেছে গত অক্টোবর মাসে বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা আশংকা জনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সচেতন মহল জানিয়ে বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ মেলার নামে চলছে অবাধে মাদক ব্যবসা ও প্রকাশ্যে মাদক সেবনের ঘটনা ঘটেছে। বন্দর থানায় রুজুকৃত ১২টি মাদক মামলায় পুলিশ ও র্যাব এর পৃথক টিম বন্দরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ১’শ ৬১ বোতল ফেন্সিডিল, ১০ কেঁজী ৫’শ গ্রাম গাঁজা ও ৬ হাজার ২’শ ৬৫ পিছ ইয়াবা ট্যবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
১২টি মাদক মামলায় পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৪ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছে।
এ ছাড়াও বন্দর থানা পলিশ গত অক্টোবর মাসে বন্দরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ জন সাঁজাপ্রাপ্ত, সিআর মামলার ওয়ারেন্টে ৩০ জন ও জিআর মামলার ওয়ারেন্টে ৪১ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়।
এ ছাড়াও ৩৮টি মামলার মধ্যে বন্দর থানা পুলিশ ৩টি হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ৫ জন আসামী, গণধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত ১ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে। বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক জানান, অল্প কিছু দিন ধরে আমি বন্দর থানায় যোগাদান করেছি।
আমি সব সময় বলেছি মাদক নিয়ন্ত্রনে পুলিশের একাপক্ষে সম্বভ্য নয়। আমাদের জনসেচতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। মাদক নিমূল্যে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে।