ফতুল্লায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন প্রতিবন্ধী এক তরুনী (১৮)। শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে প্রতিবন্ধী ওই তরুনী দুই ধর্ষককে সনাক্ত করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার দাপা ইদ্রাকপুরের হাবিবের ভাড়াটিয়া মো. মুনসুর পাটোয়ারীর পুত্র আবুল হাসান (৪০) ও একই থানার দাপা ইদ্রাকপুরস্থ আদর্শ স্কুল সংলগ্ন মৃত জামালের পুত্র কাউছার (২৮)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা সন্ধ্যায় বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাবুর্চির কাজ করে দাপা এলাকায় বসবাস করে আসছিলো। বাদীর দুই ছেলে হোসিয়ারীতে কাজ করে। ২৫ অক্টোবর সকাল আটটার দিকে সে সহ তার দুই ছেলে নিজ নিজ কর্মস্থলে চলে যায়।
সে সময় বাদীর প্রতিবন্ধী মেয়ে বাসায় একাই ছিলো। দুপুর ১ টার দিকে গ্রেপ্তারকৃতরা বাদীর মেয়েকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বিকেল চারটার দিকে বাদী বাসায় ফিরে এসে দেখতে পায় তার প্রতিবন্ধী মেয়ে কান্না করছে। কান্না করার কারন জানতে চাইলে সে অঙ্গি-ভঙ্গি করে তার নিকট বিস্তারিত ঘটনা বর্নণা করে।
পরে তাকে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর ভাড়াটিয়া জানায় গ্রেপ্তারকৃতদের কে তাদের রুমে উলঙ্গবস্থায় দেখতে পেয়েছে। তার মেয়ে ডাক-চিৎকার করলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন জানায়, প্রতিবন্ধী তরুনীকে ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত দুই ধর্ষক কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।