নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

১৮ অক্টোবর ২০২৪

 সোনারগাঁয়ে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০১:৪৫, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

 সোনারগাঁয়ে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন 

সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাধুর চর টিটির বাড়ি এলাকা মাসুদ রানা নামের এক যুবকের ওপর প্রতিপক্ষের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।


মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়। এতে ওই এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়।


মানববন্ধনে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মেম্বার আব্দুল আউয়াল, আনোয়ার হোসেন, সমাজ সেবক হারুন অর রশিদ, মো. আইয়ুব আলী, হেদায়ত উল্লাহ, আহতের বাবা ওসমান গনি।


মানববন্ধন শেষে ওই এলাকার নারী পুরুষ মিলে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি চরপাড়া থেকে শুরু হয়ে গোবিন্দপুর মাদ্রাসার প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়।


মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, সেলিম মেম্বারে সেল্টারে কিশোর গ্যাং বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাসুদ রানাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। তাদের গ্রেফতার করা না হলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।


জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে মাসুদ রানার সঙ্গে ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য সেলিম মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলে আসছে।

 

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সেলিম মিয়ার নির্দেশে শুক্রবার সন্ধ্যায় লাধুরচর টিটি বাড়ি এলাকায় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সোহেল, রাকিব, রাসেল, মো. হাসেম মিয়া, সোহেল মিয়া,শাহজালাল, বিজয়, মো. শাহেদ ও মেহেদীসহ ১৫-১৬ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র দা. রামদা, হকিস্টিক, এসএস পাইপ ও লোহার রডে সজ্জিত হয়ে হামলা করে।

 

এসময় মাসুদ রানাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন আহতকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আ্হত মাসুদ রানার বাবা বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।


অভিযুক্ত নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য সেলিম মিয়া জানান, এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না। ইতিপূর্বে একটি বিচার সালিসকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিচার সালিসে আহত মাসুদ রানা ও মোবারক দুজন উশৃঙ্খল ঘটনা ঘটানোর কারনে বিচার সালিস বন্ধ হয়ে যায়। বিচার না পেয়ে বিচার প্রার্থীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।