নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় গলিতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে সজিব (১৬) নিহতের ঘটনার ২২ ঘন্টার ব্যবধানে মামলার এজাহারনামীয় ১৩ আসামীর মধ্যে ১০ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
এরমধ্যে রোববার (৩১ জুলাই) রাত থেকে সোমবার সখাল পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিয়াম (১৮), সাব্বির (১৮), তৈয়ব (১৮), রাহাত (১৮), লিংকন চন্দ্র দাস (১৮), নাজমুল (১৮) ও হৃদয় ওরফে রাকিব (২০) কে গ্রেপ্তার করে। এবং সোমবার দুপুরে সন্দেহভাজন হিসেবে ৫জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। এরমধ্যে বিপ্লব (২০), নাজমুল (২০) ও রাকিব (১৮) কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রোববার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে সাতটার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় গলিতে ছুরিকাঘাত করা হয় সজিব ও তার বন্ধু রিফাতকে। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যতে চিকিৎসক সজিবকে মৃত ঘোষণা করেন এবং রিফাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত সজিব ফতুল্লা মডেল থানার চাষাড়া রামবাবুর পুকুর পাড় ছোট মসজিদ সংলগ্ন বাবুল মিয়ার ভাড়াটিয়া ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের ছেলে।
সোমবার দুপুরে নিহতের বাবা কামাল হোসেন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে সিয়াম (১৮), সাব্বির (১৮), তৈয়ব (১৮), রাহাত (১৮), লিংকন চন্দ্র দাস (১৮), নাজমুল (১৮) ও হৃদয় ওরফে রাকিব (২০) কে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
নিহত সজিবের বাবা জানায়, সন্ধ্যার দিকে বাড়ীর সামনের খেলার মাঠ থেকে তৈয়ব তার পুত্র সজিবকে ডেকে নিয়ে যায় চানমারীস্থ নীট হাউজের সামনে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তার পুত্র কে অভিযুক্ত আসামীরা এলোপাতাড়ি ভাবে ছুরিকাঘাত করে। এসময় তার ছেলের ডাক চিৎকারে নিহত সজিবের বন্ধু রিফাত এগিয়ে গেলে তাকে ও আসামীরা ছুরিকাঘাত করে। এ সময় সজিব ও রিফাতের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে তাদেরকে পথচারীরা শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রাত আটটার দিকে সজিব কে মৃত ঘোষনা করে। এবং রিফাত কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়,আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হয় সজিব। সোমবার দুপুরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যেই মামলার প্রধান আসামী সহ এজাহার নামীয় দশ আসামী কে গ্রেফতার করা হয়েছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষটি স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সাতজনকে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর তিনজনকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেস্টা করা হচ্ছে। তাছাড়া সন্দেহজনক হিসেবে দুজন কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।