ফতুল্লায় ইমন হত্যার প্রতিশোধ নিতেই পরিকল্পিত ভাবে খালি মাঠে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় ইমন হত্যা মামলার আসামী মেহেদী হাসানকে। এমনটাই দাবী করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের।
শনিবার (৩০ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম দেওভোগ মাদ্রাসার শেষ মাথায় মিয়াপাড়ার মাঠে মেহেদী হাসান কে ছুরিকাঘাত করে হত্যা শেষে মৃতদেহ ফেলে রেখে যায় হত্যাকারীরা।
নিহত মেহেদি হাসান (২৩) দেওভোগ শেষ মাথা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, মেহেদী হাসান হত্যাকান্ডে আটজন কিলার হত্যার মিশনে অংশ নেয়। প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছে ২০২১ সালের ১৭ জুলাই ডেবিড গ্রুপ ও ওমর ফারুক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয় ওমর ফারুকের ভাই ইমন। সে সময় আহত হয় ওমর ফারুক নিজে ও। সেই হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী ছিলো নিহত মেহেদী হাসান। সেই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনেও নিহত মেহেদী হাসানের নাম রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ইমন হত্যার প্রতিশোধ নিতেই মেহেদীকে হত্যা করা হয়েছ।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আবু হানিফ জানায়, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শনিবার রাত দশটার দিকে নিহত মেহেদী হাসান কে হত্যা করে পালিয়ে যায় ঘাতক চক্র। হত্যাকান্ডের মিশনে অংশ নেওয়া ঘাতকদের চিন্থিত সহ গ্রেফতারের চেস্টা করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ প্রতক্ষ্যদর্শী এক চা দোকানী কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছে।মামলার তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক পুলিশ।
নিহতের বোন দোলন জানান, ঘটনার পরপর জানিয়েছিলো কারা তার ভাইকে বুকে পিঠে একাধীক ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে এখনো বলতে পারছেনা। ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মেহেদিকে মৃত ঘোষনা করেছে।
নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার নাজমুল হোসেন বলেন, মেহেদি হাসানের বুকেসহ বিভিন্ন স্থানে একাধীক ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। হাসপাতালে আনার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, নিহতের স্বজনেরা তাকে জানিয়েছে ইমন হত্যা মামলায় নিহত মেহেদী হাসান চার্জসীটভুক্ত আসামী। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই মেহেদী হাসান কে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে তিনি জানান ।