সোনারগাঁয়ের পশুর হাট গুলো ঘুরে দেখা গেছে সবচেয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে এবং ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ও দামের দিক দিয়ে সেরা অবস্থানে আছে লম্বু ও হাম্বু নামের আমেরিকান ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি ষাঁড় গরু।খামারী মোতাহার হোসেন খোকনের তথ্যমতে হাম্বুর ওজন ১২শ’ কেজি ও লম্বুর ওজন প্রায় ১৪শ’ কেজি। একেকটি ষাঁড়ের দাম হাঁকাচ্ছেন ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে।
আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এ বছর ৯৮৪ জন খামারী সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন গ্রামে কোরবানীতে বিক্রির জন্য পশু মোটাতাজাকরন করেছেন। করোনা মহামারীর দুই বছরের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে চান তারা। আর উপজেলা প্রাণিজ সম্পদ কর্মকর্তা বলছেন কোরবানীর জন্য সব দরকারী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের মোতাহার হোসেন খোকন তার মালিকানাধীন ফাতেমা এগ্রো ফার্মে গত চার বছর ধরে তার খামারে ফ্রিজিয়ান ষাড় হাম্বু ও লাম্বু নামে দুটি ষাঁড় সহ বিভিন্ন জাতের মোট ৫০টি ষাড় লালন পালন করছেন। তার খামাড়ে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা ক্রয় উদ্দেশ্যে দেখতে আসছেন।
একই উপজেলার বস্তল গ্রামের গোলজার ভুইয়ার মালিকানাধীন আবিদ এগ্রো ফার্মে এ বছর কোরবানীর জন্য বিভিন্ন জাতের ১৩০টি ষাড় তৈরী করেছেন। তার খামারে সবচেয়ে বড় ষাড়টির ওজন প্রায় ১২০০ কেজি। তিনি ষাড়টির দাম হাকিয়েছেন প্রায় ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ও তাদের খামারে ষাড়ের পাশাপাশি উন্নত জাতের দুম্বা ও ছাগল পালন করছেন।
সরেজমিন সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন খামারে গিয়ে দেখা গেছে খামারীরা বিভিন্ন পশুর হাটে বিক্রির জন্য পালিত পশুগুলোকে প্রস্তুত করছেন। খামারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় গো খাদ্যের দাম কয়েক দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের আশঙ্কা কম তবে ভারতীয় গরু বাজারে না আসলে হয়তো তাদের পালিত পশু বিক্রি করে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারবেন।
খামারিরা বলছেন পশু গুলোর খাবারের তালিকায় ছিল খৈল, ভুষি, খড়, সবুজ ঘাস, ছোলা ও ঝাউয়ের মতো প্রাকৃতিক খাবার।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ইউসুফ হাবিবের তথ্যমতে, সোনারগাঁয়ে এ বছর কোরবানীতে পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ২০ হাজার আর যোগান হয়েছে মাত্র প্রায় ৪ হাজার। বাইরের পশু দিয়ে চাহিদা মেটাতে হবে। এ বছর সোনারগাঁ উপজেলায় ১৭টি হাটে পশু বিক্রি করা হবে।