আড়াইহাজারে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের নবী উল্লাহ ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে। উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় প্রতারক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল আদালতে ২টি মামলা, আড়াইহাজার থানায় ১টি মামলা ও সাধারণ ডায়েরী করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগে জানা গেছে, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের খন্দকার মোহাম্মদ আমান ও তার ছেলে খন্দকার মোহাম্মদ তাসফিকসহ পরিবারের সকল সদস্য আমেরিকা থাকেন। তাদের বাড়িঘর ও যাবতীয় সম্পত্তি কেয়ারটেকার হিসেবে দেখাশোনা করতেন একই গ্রামের লতিফ ও তার ছেলে নবীউল্লাহ।
তাদের সরলতার সুযোগে আমেরিকা প্রবাসী মোহাম্মদ তাসফিকের স্বাক্ষর জাল করে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রত্যায়ন পত্র সৃজন করে আম মোক্তারনামা দলিল করে ৫৩ শতাংশ জমি লিখে নেয় বাড়ির কেয়ারটেকার লতিফ ও তার ছেলে নবীউল্লাহ।
উক্ত জমি পাঁচবাড়িয়া ইপিজেড এর জন্য সরকার অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। প্রতারক পিতাপুত্র জমি অধিগ্রহণের ১ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা তুলে আত্মসাত করেছে।
প্রবাসী তাসফিক অভিযোগ করে বলেন, আমরা সপরিবারে আমেরিকায় অবস্থান করছি। আম মোক্তার নামা দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে। তাছাড়া আমি বাংলা লিখতে পারিনা। অথচ দলিলে বাংলায় স্বাক্ষর করা হয়েছে। যা জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তাসফিকের বাবা খন্দকার মোহাম্মদ আমান বাদী হয়ে নবী উল্লাহ তার পিতা বাবা লতিফ, মাতা রেখা ও ভাই আলআমিনসহ ৪ জনকে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন আড়াইহাজার থানা পুলিশকে। পুলিশ বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করছে।
অপর দিকে, তাসফিকের ফুফু খন্দকার পারভীনকে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে জমি না কিনেই ভুয়া দলিল দিয়ে আরো ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এই ঘটনায় খন্দকার পারভীনও নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল আদালতে মামলা করলে আদালত নবীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী প্ররোয়ানা জারি করেন। বর্তমানে নবী পলাতক।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার মঙ্গলবার জানান, আদালত ২টি মামলা পুলিশকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন। রিপোর্ট দেওয়ার পর একটি মামলায় নবীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী প্ররোয়ানা জারি করেন। অপর মামলাটি তদন্ত চলছে।