নারায়ণগঞ্জে তৃষ্ণার্ত যুবককে পানি খাওয়াতে গিয়ে সেই তৃষ্ণার্ত যুবকের দ্বারাই ধর্ষণের শিকার হলেন ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা গ্রীণ রোডস্থ মিঠু সরদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া বাসায়।
ঘটনার ৫দিন পর বুধবার (১৫ জুন)দুপুরে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে একই বাড়ির ভাড়াটিয়া রিয়াজ হোসেন (২০) কে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। রিয়াজ হোসেন জামালপুরের ইসলামপুরের বেপারী পাড়া এলাকার রফিক আলী সরদারের পুত্র
মামলায় উল্লেখ করা হয়, একই বাড়ীতে ভাড়া থাকার সুবাদে রিয়াজ হোসেন প্রায় সময় বাদীর বাসায় এসে কিশোরীর সঙ্গে কথা বলতো। এবং প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াসহ কু-প্রস্তাবও দিতো।
বিষয়টি কিশোরী তার বাবাকে অবগত করলে রিয়াজকে শাসিয়ে দেওয়া হয়। গত কয়েক দিন পূর্বে কিশোরীর বাবা-মা দুই মেয়েকে বাসায় রেখে গ্রামের বাড়ীতে যায়। ১০ জুন রাত ৮টার দিকে রিয়াজ কিশোরীর নিকট পানি খেতে চায়। এবং পানি তার রুমে দিয়ে আসতে বলে। কিশোরী পানি নিয়ে রিয়াজের রুমে প্রবেশ করা মাত্র দরজা আটকিয়ে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় কিশোরী ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। বিষয়টি টের পেয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য কিশোরীকে হুমকি দিয়ে দরজা খুলে অতি দ্রæত ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায় রিয়াজ হোসেন।
সংবাদ পেয়ে ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা দ্রæত গ্রামের বাড়ী থেকে তল্লাস্থ ভাড়া বাসায় এসে বিস্তারিত জানতে পারেন। স্থানীয় ভাবে একটি মহল একাধিকবার মিমাংসার চেস্টা করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তা মামলা হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত রিয়াজ হোসেন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেস্টা করা চলছে। কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে বলে তিনি জানান।