ফতুল্লার ভুইগড় রঘুনাথপুরে গার্মেন্টসের ভিতরেই গার্মেন্টস কর্মী (২০) কে গণধর্ষণ করার মূল হোতা আমির আব্বাস ওরফে মোল্লা (২১) কে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার (১১ জুন) রাতে তাকে ফতুল্লার রঘুনাথপুরস্থ পাসপোর্ট অফিসের পেছনে আলিফ গার্মেন্টস থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আমির আব্বাস ওরফে মোল্লা লক্ষিপুর জেলার রামগঞ্জ থানার রুহুল আমিন পাটোয়ারীর পুত্র।
পুলিশ জানায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (হাজীগঞ্জ ফাড়ির) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রঘুনাথপুরস্থ পাসপোর্ট অফিসের পেছনে আলিফ গার্মেন্টসে অভিযান চালিয়ে আমির আব্বাস ওরফে মোল্লা কে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, গণধর্ষণের শিকার ঐ গার্মেন্টস কর্মী জৈনক লাকীর মাধ্যমে চলতি মাসের ২ তারিখ পাসপোর্ট অফিসের পেছেনের গলিতে হান্নানের মালিকানাধিন আলিফ গার্মেন্টসের পঞ্চম তলায় সুইং অপারেটর হিসেবে যোগদান করে। এর দু’দিন পর (৪ জুন) সকাল ৯ টার দিকে রঘুনাথপুরস্থ ভাড়া বাসা থেকে নিজ কর্মস্থল আলিফ গার্মেন্টসে যায়।
সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে বিদ্যুৎ না থাকায় গার্মেন্টস বন্ধ রয়েছে। তিনি সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে গার্মেন্টসের তৃতীয় তলার সিড়িতে একই গার্মেন্টেসের শ্রমিক গ্রেপ্তারকৃত আমির আব্বাস ওরফে মোল্লার সাথে দেখা হলে তাকে জানায় যে বিদ্যুৎ চলে এলে গার্মেন্টস আবার চালু হবে বলে তাকে অপেক্ষা করতে বলে।
একপর্যায়ে আমির আব্বাস ওরফে মোল্লা বাদীর মুখ চেপে অপর এক যুবকের সহায়তায় গার্মেন্টসের তৃতীয় তলার একটি রুমে নিয়া ভয় ভীতি দেখাইয়া পর্যায়ক্রমে তাকে ধর্ষন করে। ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ভয় ভীতি প্রদর্শন করে ছাড়িয়া দেয়।
ঘটনার একদিন পর বাদী যথা সময়ে নিজ কর্মস্থলে এসে কাজে যোগদান করে। এবং কর্মস্থলে থাকা লাকী কে বিষয়টি অবগত করলে সে বিষয়টি নিয়ে নীরব থাকার পরামর্শ দেয়। ঘটনার দুই দিন পর বিষয়টি মালিক কর্তৃপক্ষ কে অবগত করা হলে তারা কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাদী চাকুরী ছেড়ে দিয়ে চলে আসে।
পরবর্তীতে বাদী রাজমিস্ত্রির কাজ করা তার স্বামীকে বিষয়টি অবগত করে। অপরদিকে গ্রেপ্তারকৃত আমির আব্বাস ওরফে মোল্লা বাদীর স্বামীর মোবাইল ফোনে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি প্রদান করে।
এ ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার ঐ গার্মেন্টস কর্মী শনিবার (১১ জুন) বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (হাজীগঞ্জ ফাড়ির) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী জানায়,গণধর্ষণের এজাহার নামীয় আসামী মূল হোতা আমির হোসেন ওরফে মোল্লা কে শনিবার তার নিজ কর্মস্থল ও ধর্ষনের ঘটনাস্থল আলিফ গার্মেন্টসে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও অজ্ঞাতনামা অপর ধর্ষকের বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পেরেছেন। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছেনা বলে তিনি জানান।