বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এর উদ্যোগে আলোচনা সভা, মিলাদ, দোয়া ও খাবার বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২১ আগষ্ট) বিকেলে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে শহরের ৫নং ঘাট এলাকায় এ আলোচনা সভা, মিলাদ, দোয়া ও খাবার বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহ আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আইন ও দর কষাকষি বিষয়ক সম্পাদক ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান।
আরো উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগ এর সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দিন আহমেদ বাবুল,বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ সিকদার, বন্দর উপজেলা শ্রমিক লীগ এর সভাপতি মোজ্জামেল হক, নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যকরি কমিটির সভাপতি সরদার আলমগীর মাষ্টার, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ, জেলা শ্রমিক লীগের দপ্তর সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান,নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা শ্রমিক লীগ এর সভাপতি খাদিজা খানম প্রমুখ।
আলোচনা সভায় কাজিম উদ্দিন প্রধান বলেন, জাতির জনকের কোনো লোভ লালসা ছিলো না। তিনি বাঙালি জাতির জন্যে অকাতরে কাজ করে গেছেন। উনি কখনো মৃত্যুর ভয় করেন নাই। দেশ স্বাধীনের মাত্র সাড়ে ৩ বছরে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
হত্যাকারীরা চেয়েছিলো তাকে হত্যার মাধ্যমে দেশ থেকে আওয়ামীলীগের নাম মুছে দিয়ে দেশকে পাকিস্তানে রূপ দিতে। কিš ওই মীরজাফর খুনিদের স্বপ্ন চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেশের হাল ধরেছেন জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, যার জন্যে ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। শুধু তাতেই থেমে থাকেনি ঐ চক্র ২৩ বার হামলা চালায় জননেত্রীর উপর। তাতেও দমে যাননি তিনি। দেশকে আজকে উন্নয়নের পথে হাটাচ্ছেন তিনি।
তাই আমাদের স্ব স্ব জায়গা থেকে জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ওনাকে সহযোগীতা করতে হবে আমাদের। যাতে করে উনি জাতির জনকের অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করে যেতে পারেন।