নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে নির্বাচনের দিন আওয়ামীলীগ সমর্থিত ৪ আইনজীবীকে নির্বাচন কেন্দ্রের ভেতর অবস্থান করা থেকে বিরত রাখতে নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেল।
তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সিনিয়র আইনজীবী এড. মাসুদ উর রউফ, এড. কামাল, এড. মেজবাহ উদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচনকালীন সময়ে এমন অভিযোগ দেন ছন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি বিএনপিপন্থী আইনজীবী এড. সরকার হুমায়ূন কবির।
এবিষয়ে এড. সরকার হুমায়ূন কবির জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে তারা আওয়ামীলীগপন্থী প্যানেলের পক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সিনিয়র আইনজীবী এড. মাসুদ উর রউফ, এড. কামাল, এড. মেজবাহ উদ্দিন প্রভাব বিস্তার করছেন।
তারা আইনজীবীদের সরাসরি তাদের প্যানেলকে ভোট দিতে হুমকি-ধামকি দেয়। যা নিবার্চন আচরণ বিধি লঙ্ঘন। তাই নির্বাচনকালীন সময় পর্যন্ত তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে না ঢুকতে দিতে কমিশনারের কাছে মৌখিকভাবে জানান।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও এ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির আওয়ামীলীগ সমর্থিত ৫ আইনজীবীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই ৫ আইনজীবী ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সিনিয়র আইনজীবী মাসুদ উর রউফ, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও আইনজীবী কামাল হোসেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, অতীতে আমরা প্রত্যেক্ষ করেছি উল্লেখিত ৫ আইনজীবী নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহন শুরু থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত অবৈধভাবে ভোট কেন্দ্রের ভেতর ও বুথে অবস্থান করে ভোটারদের ‘ইনফুলেন্স’ করাসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে মন মতো প্রার্থীদের ভোট দেয়ার জন্য বাধ্য করে।
এছাড়া বুথের ভেতর প্রবেশ করে ‘ওপেন ব্যালট’ এ সীল মারতে বাধ্য করে। ব্যালটের ছবি তোলাসহ অসদুপায়ে সংগৃহীত ব্যালটে ভোটদানে বাধ্য করে। এসব কারণে সাধারণ আইনজীবীগন আমার নিকট তাহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করাসহ ভোট কেন্দ্রের ভেতর ভোট গ্রহন ও ভোট গণনাকালে অবৈধভাবে তাহাদের (৫ আইনজীবী) অবস্থান হতে বিরত রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করতে অনুরোধ করেন।
তাই এ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, খোকন সাহা, মাসুদ উর রউফ, হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও কামাল হোসেনকে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ থেকে শুরু করে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রের ভেতরে অবৈধ অবস্থান থেকে বিরত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করছি।