নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৮৯ জনকে আসামি করা হয়েছে

রাজধানীর হত্যা মামলায় না’গঞ্জ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৫ নেতা আসামি

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:২০:২২, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীর হত্যা মামলায় না’গঞ্জ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৫ নেতা আসামি

ছাত্র-জনতার গণঅভূত্থানে রাজধানীর উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. আলী হুসেন নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলার আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পাঁচ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।

তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, বন্দরের যুবলীগ নেতা খান মাসুদ, একই থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন প্রধান, আওয়ামী লীগ নেতা আহমেদ তুষার মাঈনউদ্দীন।    

এ ছাড়াও এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৮৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নিহতের আত্মিয় মো: মফিজুল ইসলাম সানা ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট (উত্তরা পূর্ব) আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। 

 মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই, আসামীরা প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত থেকে, আর্থিক সহযোগিতা, নির্দেশনা ও পরিকল্পনা দ্বারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে আজমপুর মোড়ের পাকা রাস্তার উপস্থিত থেকে আাসামি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের , তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী , আইনমন্ত্রী, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের নির্দেশনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যসরা ও উল্লেখিত আসামীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ঢাকা মেট্রোপলিটনের উত্তরা-পূর্ব থানাধীন ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে আজমপুর মোড়ের পাকা রাস্তার উপস্থিত হয়ে অবস্থান নেয়। 

এরপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যসরা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকারী সাধারন ছাত্র জনতা এর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এর এক পর্যায়ে তারা ছাত্র জনতার উপর অর্তকিত গুলি হামলা চালায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অবস্থানরত মো: আলী হুসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তাহার পেট, বুক ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে এবং সে মহাসড়কের উপরে পড়ে থাকে। 

এমতাবাস্থায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরবর্তী কোন এক সময় সঙ্গীয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারন ছাত্র জনতা মধ্য থেকে স্বাক্ষীগন সহ কয়েকজন ছাত্র জনতা এসে মো: আলী হুসেনকে হাত পা ধরে তুলে নিয়ে নিকটবর্তী কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল এ নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার মো: আলী হুসেনকে মৃত ঘোষণা করে।