নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার ও জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি দৌলত হোসেন মেম্বার হত্যা মামলার প্রধান আসামি গোগনগর ইউপির ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার রুবেলসহ ৮ আসামীর ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড প্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- ইমরান, হিমেল, শাওন, আমির, রিহান, হাবিবুর রহমান, নাজমুল।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে আসামিদের হাজির করে ৩দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, আসামিদের আদালতে উপস্থিত করে ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ৯ মে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এর আগে ১৫ মে ১ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় এ মামলার ১৬ আসামিকে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৬ জুলাই দৌলত হোসেন মেম্বার রাত ঔষধ ক্রয়ের জন্য বাসা থেকে বের হলে পুরাতন সৈয়দপুর ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুর সামনে সিএনজি দিয়ে পৌছামাত্রই মেম্বার রুবেলসহ এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাত আরো প্রায় ১০/১৫ জন পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দৌলত মেম্বারকে সিএনজি থেকে নামিয়ে রামদা দিয়ে তার মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এবং শীতলক্ষ্যা ব্রীজের ঢালে রক্ষিত পাথর দিয়ে দৌলত হোসেন মেম্বারের হাত-পা ভেঙ্গে গুড়ো করে ফেলা হয়।
এ সময় দৌলত মেম্বারের পায়ের রগ কেটে এবং পা কেটে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করার পর চরসৈয়দপুর এলাকায় সিএনজি পাম্পের সামনে তার মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে মামলার আসামিরা।
পরবর্তীতে লোক মারফত দৌলত হোসেন মেম্বারের পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে প্রথমে তাকে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং অবস্থা বেগতিক দেখে পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনার একদিন পর নিহত দৌলত হোসেন মেম্বারের স্ত্রী মমতাজ বেগম গোগনগর ইউপি সদস্য রুবেলকে প্রধান আসামী করে এবং ইমরান, রানা, হিমেল, শাওন, আমির, হিমু, ফাহাদ, তাওলাদ হোসেন, আমির হোসেন, রিহান, হাবিব, সাদ্দাম, শুভ, আবুল কাশেম, মাসুদ, লুৎফর, নাজির, রাসেলসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৩০।
মামলা দায়ের পর সেলিম নামে এক আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও বাকী সকল আসামি দীর্ঘদিন ১০ মাস পলাতক থাকার পর ৯ মে আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত আসামিদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।