জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। তিন মাস পুরো সময় নেই। আগামী জানুয়ারীতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরই মধ্যে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক সদস্য অ্যাডভোকে সুমন মিয়া বোম ফাটালেন।
তিনি বলেছেন, বিএনপি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের ৩০১ নাম্বার রুমে দলীয় প্যানেল বিক্রি করে দেন। এমনকি পরিবারের সদস্যদের নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজণীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ওসমানদের ছাড় দেন।
এ নিয়ে বুধবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে তিনি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
তার এই স্ট্যাটাসে তোলপাড় চলছে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে। অনেকেই তার স্ট্যাটাসে কমেন্ট করে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কেউ আবার সমর্থন যোগাচ্ছেন। কেউ আবার একে অপরকে ঘায়েল করে কমেন্ট করছেন।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সামছুল আরেফিন লিখেছেন “দুই ঘটনাই আপনি চাক্ষুষ সাক্ষী এবং লভাংশ ভোগী হয়ে থাকলেও তখন দুধের সড় খাইছেন আর ঐ ঘটনা ফাসেঁর মাধ্যমে আবার দুধের সড় আশা করছেন! বাংলাদেশের সুবিধাবাদী পদপ্রার্থী”।
অ্যাডভোকেট শিপলু লিখেছেন “উনিতো বিএনপি করেনা উনি বাম দলের রাজনীতি করেন এবং তাদের হয়ে কাজ করেন। প্রমাণ চাইলে দিতে পারবো”। “ভাই দলটা কাউয়ায় ভরে গেলো”। শিপলুকে কাউন্টার দিয়ে অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া লিখেন “বেশ্যার মুখে সতীত্বের প্রলাপ”।
অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম লিখেছেন “নির্বাচন করার আশা ছেড়ে দিয়ে আল্লাহকে ডাকেন কারন থলের বিড়াল বেরিয়ে গেলো ভাই”।
অ্যাডভোকেট খোরশেদ মোল্লা লিখেছেন “জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নাঃগন্জ জেলায় একটি শক্তিশালী সংগঠন। এখানে সময়ের প্রয়োজনে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। তার উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই সিনিয়র আইনজীবী জনাব এ্যাডঃ তৈমুর আলম খন্দকার সাহেব যখন আদালত পাড়ায় ধৃত হয় তখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করেছি।
হয়তোবা অনেকে ভূলে গেছে। আমরা সবাই শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পছন্দ করি। আমাদের মাঝে কোন বিরোধ নেই। আমরা সবাই মিলে আইন জীবি ফোরামের জন্য ভালো কিছু করতে চাই। মনে কষ্ট থাকলে নিজস্ব ফোরামে আলোচনা করে সমাধান করব। পাগলের হাতে কুড়াল দিয়ে নয়”।
এছাড়া পক্ষে বিপক্ষে একে অপরকে ঘায়েল করেও কেউ কেউ কমেন্টস করছেন অ্যাড, সুমন মিয়ার স্ট্যাটাসে।
অ্যাডভোকেট সুমন মিয়ার ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসটি এখানে হুবহ তুলে ধরা হলো-
“নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের রাজনীতিতে দুই বলয়ের গ্রুপিং স্পষ্ট। গত এক যুগ যাবত আইনজীবী সমিতিতে বিএনপি পন্থী আইনজীবীর সংখ্যা অধিক হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনে ভরাডুবি হয়।
বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে নির্বাচন হলে কেউবা নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে 301 নং রুমে প্যানেল বিক্রি করে দেয়। আবার কেউ বা নিজ পরিবারের সদস্যদের নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ওসমানদের ছাড় দেয়।
এবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা স্যার , ভাইয়ের বলয়কে পরিহার করতে চায় এবং বিএনপিকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে নির্বাচনে ভোটদানের মাধ্যমে ফোরামের নেতা নির্বাচন করতে চায়।”