মাতৃভাষা এবং বাঙ্গালির হার না মানা জাতি হিসেবে উন্মেষের সঙ্গে ফেব্রুয়ারির সখ্যতাটা বেশ পুরোনো। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা।
তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন। এর সঙ্গে চলচ্চিত্রেরও একটা যোগসূত্র তৈরি হোক সে উদ্দেশ্যেই আবারও মুক্তিযুদ্ধ বিষয় তথ্যচিত্র (ডকোমেন্টরি) “রণ-কথা”প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে।
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে পুনরায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে যুদ্ধ জীবনের স্মৃতি নিয়ে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধকালীন কমান্ডার আবদুর রশিদ পাঠান এর “রণ-কথা”।
গত বছর ২২ ডিসেম্বর প্রথমবারের মত প্রদর্শিত হবার ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলো তথ্যচিত্রটি। তাই ভাষার মাসে রণ কথা'র বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন কমান্ডার আবদুর রশিদ পাঠান ফাউন্ডেশন এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠান উঠান পিক্সরুম। তারা আয়োজিত প্রদর্শনীতে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনের আমন্ত্রন জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে চাঁদপুর-১ আসনের মাননীয় সংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড, সেলিম মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
তথ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রশিদ পাঠান এর একমাত্র ছেলে রকিবুল হাসান জেমস, পরিচালনা করেছেন উঠান পিক্স রুমের কর্ণধার , নাট্য নির্দেশক, মঞ্ছ, টিভি, ও সিনেমা অভিনেতা শোয়াব মনির।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রশিদ পাঠান এর ছেলে রকিবুল হাসান জেমস তার পিতাকে নিয়ে নির্মিত উক্ত প্রদর্শনীতে সকলকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন। তিনি জানান, তার পিতাকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র (ডকোমেন্টরি) করার মূল উদ্দেশ্য পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলী দলিল হিসেবে সংরক্ষণ করা।
ইতিমধ্যে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘটনা সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। তার মতে এর মাধ্যমে রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সংরক্ষন সহ পরবর্তী প্রজন্মদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পৌঁছে দেয়া যাবে।
তিনি বর্তমান স্বাধীনতার পক্ষের সরকারকে সরকারিভাবে এই কার্যক্রম বেগবান করার জোর দাবী জানান। প্রথমবারের মতো এই বিশেষ প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।