নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২৩ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকার মেহমানরা নারায়ণগঞ্জবাসীর মনে কষ্ট দিয়েছে : তৈমূর 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০১:৩৮, ১৪ জানুয়ারি ২০২২

ঢাকার মেহমানরা নারায়ণগঞ্জবাসীর মনে কষ্ট দিয়েছে : তৈমূর 

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন,  ঢাকা থেকে মেহমানরা এসে নারায়ণগঞ্জে এমন কিছু কথা বলেছে যাতে নারায়নগঞ্জবাসী মনে খুব ব্যাথা পেয়েছে। তারা বলেছে তৈমূরকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না। তারা বলেছে, ঘুঘু দেখেছে ঘুঘুর ফাদ দেখেননি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘুঘুর ফাদ দেখিয়ে দিবো।

 

আমি পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় ঘুঘুর ফাদ দেখা শুরু করেছি আমার লোকজন গ্রোফতার হওয়া শুরু হয়েছে। আমার সমন্বয়ক ও গুরুত্বপূর্ণ নেতা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২০১৩ সালের হেফাজতের মামলায়।

 

এসব অত্যাচার নির্যাতনে নারায়ণগঞ্জের মানুষ দল মত নির্বিশেষে ইউনাইটেড হচ্ছে। মেহমানরা যে বিভাজন সৃষ্টি করছেন এতে নারায়ণগঞ্জের মানুষ ব্যাথিত।আজকে সরকারি সলের বিভাজন একদম পরিষ্কার। আমার দল যে ঐক্যবদ্ধ এটাও পরিষ্কার। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় নেমে একথা বলেছেন তিনি। 


তৈমূর বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান করে লাভ নেই। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান করতে চাই। নারায়ণগঞ্জ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামপর সূতিকাগার। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়লে এটা বুঝা যায়। তিনি যেন নারায়ণগঞ্জবাসীর আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটান। পুলিশ যেন আমাদের ওপর নির্যাতনটা না করে এবং পুলিশ যদি নির্যাতন বন্ধ করে নির্বাচনটা যদি সুষ্ঠু হয় তাহলে আমি মনেকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। 


তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জকে মাদকমুক্ত করতে প্রথম আমরাই ভূমিকা নিয়েছি। আমার ভাইকে হত্যা করেছে মাদক ব্যাবসায়ীরা। আমরা মাদকের দ্বারা নির্যাতিত। আমরা সন্ত্রাসের শিকার একটা পরিবার। আমার শরীরে গুলি আছে। বহুবার কারাবরণ করেছি এবং তা মানুষের অধিকার আদায়ের জন্যেই করেছি।

 

এই যুবসমাজের জন্যেই নির্বাচনে আসা। তারাই তো দেশের ভবিষ্যত। সিটি করপোরেশন তাদের হাতে কিছু তুলে দিতে পারেনি। তাদের বিনোদনের ব্যাবস্থা করে দিতে পারেনি। তারা দোষ দেয় কিশোর গ্যাং সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এর জন্য তো সিটি করপোরেশনই দায়ী। তারা হাতে বিকল্প ব্যাবস্থা তুলে না দিলে তারা বিপথে যাবেই। 


তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন কোন সিন্ডিকেটের দ্বারা পরিচালিত হবে না। ছোট ছোট যুবকরাও এখানে কাজ পাবে। কাজকে বড় করে দেখানো হয় মাত্র তক দুইজন ঠিকাদার কাজ করে। নারায়ণগঞ্জের ঠিকাদারদের তালিকে দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন। এগুলো ভাগ করে দিলে অনেক লোক কাজ করতে পারত। 


মিল কারকানাকে বাধ্য করা হবে যে অন্তত ২০ শতাংশ লোক স্থানীয় ছেলেদের নিতে হবে। নয়ত তাদের ট্রেড লাইসেন্স বন্ধ করে দেয়া হবে। এভাবে বেকার সমস্যাও দূর হবে। মাদক সমস্যা থাকবে না কিশোর গ্যাংও থাকবে না। 


তিনি আরও বলেন, পুলিশ আমার নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। আমাদের জেলা তাতী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল বলল তার বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে। এমন অনেক নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছে। এমনকি সরকারি দলের যারা নৌকার পক্ষে নামেনি তাদেরও হয়রানি করা হচ্ছে।

 

তাদের কমিটি ভেঙে দেয়া হচ্ছে। কয়েকদিন আগে ছাত্রলীগের একটা ছেলে সুজন মৃত্যুবরণ করেছে। সে নৌকার প্রার্থীর আসামী হিসেবে মৃত্যুবরণ করেছে।