নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি দোয়া চাই এই সম্মান যেন আমি রাখতে পারি। সরকারি দলের বড় বড় নেতারা এমপিরা আমার বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলছে। তারা ঢাকা থেকে এসে এসব কথা বলে।
কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে চেনে। আওয়ামী লীগের যিনি প্রধান তিনিই বলেছেন তৈমূর আলম উইনেবল ক্যান্ডিডেট। তিনি তিনবার বলেছেন তৈমূর জেতার মত লোক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা মানুষ বিশ্বাস করবে না সরকারি দলের এমপি মন্ত্রীদের কাহিনী বিশ্বাস করবে। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) গনসংযোগে নেমে একথা বলেন তিনি।
তৈমুর বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসী একটা প্রার্থী দীর্ঘদিন যাবৎ খুজছিল। আমি কয়েকবার দাঁড়াইনি আর একবার আমার দল নিজেই বসে গেছে। তখন আমার কিছু করার ছিল না যেহেতু আমি দলের প্রতি অনুগত্য প্রকাশ করেছি। আমি জনগনের ফুলের মালা পাচ্ছি এখন। জনগন চারিদিক থেকে এসে ফুলের মালা দিচ্ছে, ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে।
মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। সিটি করপোরেশন একটা সিন্ডিকেটে পরিনত হয়েছে। যেখানে ১৭৬টি ঠিকাদারি সংস্থা সিটি করপোরেশনে লিস্টেড ছিল। সেখানে এখন মাত্র বাইশ তেইশ জন ঠিকাদার রয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের হাতেই সব কন্ট্রোল রয়েছে। এটা নারায়ণগঞ্জে ওপেন সিক্রেট যে দুইজন ঠিকাদার এই ঠিকাদারি ব্যবসা কন্ট্রোল করে।
আমি আলী আহমদ চুনকা থেকে একটা কাজ শিখেছি, সেটা হল তিনি তার গাড়ীতে কোন কন্ট্রাক্টর উঠতে দিতেন না। সেটা শিখে আমি বিআরটিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমার রুমে গাড়ীতে কোন কন্ট্রাক্টর ঢুকতে দিতাম না। অনেক বিষয় আছে যেটা মানুষের চোখ এড়ানো যায় না।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে কিশোর গ্যাং বৃদ্ধি পেয়েছে পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। কিশোরদের হাতে অল্টারনেটিভ না থাকার কারনেই কিশোর গ্যাং হচ্ছে। যেখানে খেলার মাঠ হওয়ার কথা সেখানে সিটি করপোরেশন এপার্টমেন্ট করেছে। এপার্টমেন্ট করাটা সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব না। এই এপার্টমেন্টের বিষয়ে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিনা টেন্ডারে এই এপার্টমেন্টের ফ্ল্যাট ও দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেয়র শহরকে রিপ্রেজেন্ট করে। আমরা যখন বিদেশে গিয়েছি মেয়র আমাদের রিসিভ করত এবং সেখানে আমাদের আপ্যায়ন করত। অতএব মেয়রের ব্যর্থতা সরাসরি নগরবাসীর ওপর বর্তায়। একারনে নগরবাসী এখন পরিবর্তন চায় এবং করের বোঝা থেকে বাঁচতে চায়।
তৈমুর বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে চেনে। গাছতলা থেকে বাইশতলা পর্যন্ত মানুষ আমাকে চেনে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের মন থেকে আমাকে সরাতে পারবে না। আমি মানুষের প্রয়োজনে দলের বাইরে এসে এখানে নির্বাচন করছি। দলের লোকজনও আমার সাথে আছে কারণ তারা জানে আমার শরীরে সরকারি দলের গুলি আছে।
আমি জানি আমার শরীরের অবস্থা কেমন যায়। আমাকে বার বার পুলিশ পিটিয়েছে তারা জানে। তাই আমার নেতাকর্মীরা আমাকে ছেড়ে যায়নি। নেতাকর্মীরা জানে কতবার আমি কারাগারে গিয়েছি কিন্তু আপোষ করিনি। ভয়ে মরে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর নীতিতে আজ পর্যন্ত অবিচল আছি।