সোনারগাঁয়ে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন, অনেক বড় বড় ঝামেলা ছিল, আমি কাউকে কখনও উস্কে দেইনি, আমি মীমাংসার মাধ্যমে সহাবস্থান করার জন্য চেষ্টা করেছি। সবকিছুর মালিক আল্লাহ।
এখন আপনারা যদি মনে করেন ১০টি বছর আমি আপনাদের পাশে থেকে কোনো ক্ষতি করিনি, আপনাদের উপকার করার চেষ্টা করেছি, আপনাদের সুখে রাখার চেষ্টা করেছি, আপনাদের ১০ বছরে ভালোবাসার যোগ্যতা অর্জন করেছি তাহলে আপনারা আমাকে ভোট দেবেন।
শনিবার সকালে সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাঙ্গলের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ভোটারদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এলাকার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে খোকা বলেন, ১০ বছর আগে সোনারগাঁয়ের কি অবস্থা ছিল, এ শম্ভুপুরা ইউনিয়নের কি অবস্থা ছিল, এই যে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন রাস্তাঘাট পুল-কালভার্টের কি অবস্থা ছিল, সেটা আপনারাই জানেন। আমার বলার কিছু নেই, এগুলোর উন্নয়ন এখন সব দৃশ্যমান।
তিনি বলেন, লোভ-লালসা ত্যাগ করে রাজনীতিতে সময় দিয়েছি। সোনারগাঁয়ের মানুষগুলোর আপনজন হয়ে, প্রিয়জন হয়ে, পরিবারের সদস্যের মতো হয়ে আমি আপনাদের পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করবো। বিচার-বিশ্লেষণের দায়িত্ব আপনাদের। আগামী পাঁচটি বছর আপনারা কেমন থাকবেন, কতটুকু ভালো থাকতে চান, আমি ১০ বছরে আপনাদের কতটুকু শান্তিতে রাখার চেষ্টা করেছি, সেটা বিবেচনা করে ভোট দেবেন।
খোকা বলেন, আমার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আছে, আমি কারো সমালোচনা করছি না। উনিও পাঁচটি বছর এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন। বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন। কাকে কতটুকু পেয়েছেন, কাকে করোনার সময় পেয়েছেন, কার মাধ্যমে আপনারা রাস্তাঘাট পেয়েছেন। এসব বিবেচনার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের নেতা সিলেকশন করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,জাতীয় পার্টির সভাপতি ও শম্ভুপুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, ,ছাবেদ আলী মেম্বার, ইকবাল মেম্বার, রিপন মেম্বার, শারমিন মেম্বার, স্বপন মেম্বার, কবির মেম্বার, খৈয়ম মেম্বার, সাজেদ আলী মেম্বার, জাতীয় পার্টি নেতা মোশাররফ, ইকবাল হোসেন, আরসাদ,সাইফুল ইসলাম,মান্নান,আবু সুফিয়ানসহ জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।