আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের প্রার্থী ৩৮ জন প্রার্থীর দৃষ্টি এখন ১৭ ডিসেম্বরের দিকে। নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে এই দিনটিকে ঘিরে। আওয়ামীলীগ, জাতীয় পাটি. তৃণমূল বিএনপিসহ ১৩ টি রাজনৈতিক দলের ৪৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। ৪ ডিসেম্বর যাছাই-বাছাই শেষে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ৭ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেন। ফলে মাঠে রয়েছেন ৩৮ জন প্রার্থী। আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওইদিন ভোটারদের কাছে পরিস্কার হবে কারা করা শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকছেন। বিশেষ করে আলোচনায় রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ-১, নারায়ণগঞ্জ-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন। এই তিনটি আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় পাটি ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী। বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মহাজোটের শরীক দল হচ্ছে জাতীয় পাটি। এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে তৃণমূল বিএনপি। ফলে জাতীয় পাটি নাকি তৃণমূল বিএনপিকে ছাড় দিবে আওয়ামীলীগ। যদি ছাড় দেয় তাহলে কপাল পড়বে আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের। আর যদি ছাড় না দেয় তাহলে কপাল পুড়লে তৃণমূল বিএনপি ও জাতীয়পাটির প্রার্থীদের। ৩৮ প্রার্থীর মধ্যে কাউকে কাউকে বাধ্য হয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে হতে পারে। আর যদি না করে তাহলে আসনগুলোতে দ্বি-মুখী ও ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বতা হওয়ার সম্ভবনা থাকবে।
এদিকে একাধিক সূতমতে, মহাটেনশনে রয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী, তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু ও জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন এবং নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা। তাদের মধ্যে কে থাকবেন আর কে প্রত্যাহার করবেন নাকি সবাই থাকবেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিবেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা।
জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার অফিসের তথ্যমতে, বর্তমানে ৩৮ জন প্রার্থী মাঠে রয়েছে। তারা হলেন, হলেন-নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতিক)- (আওয়ামী লীগ), তৈমুর আলম খন্দকার- (তৃণমূল বিএনপি), শাহাজাহান ভুইয়া- (স্বতন্ত্র), গাজী গোলাম মর্তুজা- (স্বতন্ত্র), মো. হাবিবুর রহমান- (স্বতন্ত্র), মো. জোবায়ের আলম- (স্বতন্ত্র), মো. সাইফুল ইসলাম- (স্বতন্ত্র), মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী- (স্বতন্ত্র), একেএম শহিদুল ইসলাম- (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ)।
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে নজরুল ইসলাম বাবু- (আওয়ামী লীগ), মো. আবু হানিফ হৃদয়-(তৃণমূল বিএনপি), শাহজাহান- (জাকের পার্টি), আলমগীর সিকদার লোটন- (জাতীয় পার্টি)।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে কায়সার হাসনাত (আওয়ামী লীগ), লিয়াকত হোসেন খোকা (জাতীয় পার্টি) , মো, মজিবুর রহমান মানিক (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মোহাম্মদ আসলাম হোসেন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান (বিএনএম), নারায়ণ দাস (বিকল্প ধারার বাংলাদেশ), এরফান হোসেন (স্বতন্ত্র), মারুফ ইসলাম ঝলক (স্বতন্ত্র), মো. আরিফ (মুক্তিজোট), রুবিয়া সুলতানা (স্বতন্ত্র), এ.এইচ.এম মাসুদ (স্বতন্ত্র)।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে শামীম ওসমান (আওয়ামী লীগ), মো. সৈয়দ হোসেন (সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ), মো. আলী হোসেন (তৃণমূল বিএনপি), মো. মূরাদ হোসেন জামাল (জাকের পার্টি), মো. ছালাউদ্দিন খোকা (জাতীয় পার্টি), মো সেলিম আহমেদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মো. হাবিবুর রহমান (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. শহীদ উন নবী (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), গোলাম মোর্শেদ রনি (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে একেএম সেলিম ওসমান (জাতীয় পার্টি), এএমএম একরামুল হক (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মোর্শেদ হাসান (জাকের পার্টি), মো. আব্দুল হামিদ ভাষানী ভূইয়া (তৃণমূল বিএনপি), ছামসুল ইসলাম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)।