মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শন ও শোডাউন করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে নির্বাচন কমিশন শোকজ করায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও এই আসনে নিজ দলের প্রার্থী এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর পৌর কবরস্থান জামে মসজিদে নিজের ভাগ্নে মহানগর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু’র নামাজে জানাজা, দাফন ও দোয়া শেষে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে তৃণমূল বিএনপির মহাসচির তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এবার সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। অস্ত্রসহ মিছিল করার দায়ে সরকারি দলের প্রার্থী ও মন্ত্রীকে নির্বাচন কমিশন শোকজ করায় সুষ্ঠু নির্বাচনের সেই নমুনা দেখতে পাচ্ছি। সরকারি দলের প্রার্থী ও মন্ত্রী হওয়ার পরেও নির্বাচন কমিশন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তৈমুর আলম মনে করেন এই শোকজের কারণে অস্ত্রবাজি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রন হবে।
তৈমুর আশা করছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ি প্রশাসনও সে অনুযায়ি কাজ করবে। রূপগঞ্জের নির্যাতিত মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য তাদের দাবির কারণেই এই আসনে নির্বাচন করছেন বলে জানিয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, রূপগঞ্জবাসি আমাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে টেনে রূপগঞ্জে নিয়েছে।
রূপগঞ্জবাসি যদি মনে করে সরকারি দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে গেলে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে, এই ভয়ে যদি তারা কেন্দ্রে না যায়, তাহলে এখন রূপগঞ্জবাসির বিবেকের প্রশ্ন।
তৈমুর বলেন, এমন হয়। সকারি দলের প্রার্থীর বিপক্ষে গেলে পুলিশ কি ভূমিকা রাখে সেটা সবাই জানে। কিন্তু এইবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। প্রশাসনও সে অনুযায়ি তাদের কাজ করবে বলে আশা রাখি। তবে প্রশাসনতো জি¦ হুকুম জাহাপনা, ব্রিটিশ আমল থেকে এই সিস্টেম চলছে।
নির্বাচনে কোথাও কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমুর আলম বলেন, আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও ভরসা রেখে সব সময় চলি। যেখানে প্রতিবন্ধকতা হয়েছে সেখানে আল্লাহকে স্মরণ করে প্রতিরোধ করেছি। তবে জনসমর্থন বা অন্য কোন দিক দিয়ে হেরে যাই নি। মাঝেমধ্যে টাকার কাছে হেরে যাই। তবে আমাকে নেতা বানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ শহরের মানুষ। আমি যখন নির্বাচন করি নারায়ণগঞ্জের মানুষ দল, মত নির্বিশেষে সবাই আমার পাশে থাকেন। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি সরকারি দলের প্রার্থী ও মন্ত্রীর পিএস, এপিএস বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখল, ভূমি দস্যুতা এবং মাদকসহ নানা নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগও তোলেন তৈমুর।
তিনি বলেন, আমাকে এবার নির্বাচন করতে হচ্ছে রূপগঞ্জবাসির স্বার্থে। তাদের জমিজমাগুলি রক্ষা করার স্বার্থে। এই যে পিএস, এপিএস বাহিনী যেভাবে জমি দখল করে রেখেছে সেখানে আওমীলীগের নেতা-কর্মীরাও বিপদের মধ্যে আছেন। আমরা কারো জায়গা জমি দখল করেছি কিনা, পিএস এপিএস রেখেছি কিনা, কাউকে জেল খাটিয়েছি কিনা, রাজনৈতিক সংগঠন ও স্কুল-কলেজ দখল করেছি কিনা-রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষের কাছে খবর নেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বি লোকজনের কাছে খবর নেন। আমাদের সম্পর্কে এবং তাদের সম্পর্কে সব জানতে পারবেন।