প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ শহরস্থ শহীদনগর এলাকার এক যুবতী মেয়েকে আলমাস টাওয়ার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিয়াম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে ২নং রেলগেইট সংলগ্ন আলমাস টাওয়ার এলাকা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে শেখ রাসেল পার্কের মেইন গেইটের ভিতরে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবক সিয়াম (২০) শহীদনগর এলাকার ২নং গলির প্রবাসী মাসুম মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবতী বর্ষা (১৯) নিজে বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সিয়াম (২০) শহীদনগর এলাকার ২নং গলির প্রবাসী মাসুম মিয়ার ছেলে। সিয়াম দীর্ঘ দিন যাবৎ আমাকে বিভিন্নভাবে পথেঘাটে ও কর্মস্থলে উত্যক্ত করে এবং প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে।
অভিযুক্ত সিয়াম খুবই খারাপ প্রকৃতির ও নেশাগ্রস্থ হওয়ায় সিয়ামের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক করতে আমি রাজি হইনি বিধায় সিয়াম আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি সহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
আমি ২নং রেলগেইট সংলগ্ন আলমাস টাওয়ারে 'বাবুল্যান্ড' নামীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি এবং বাসা থেকে প্রতিনিয়ত আমাকে রাস্তায় যাতায়াত করতে হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সোমবার সাড়ে তিনটার দিকে আমার কর্মস্থল হইতে কাজ শেষে বের হওয়ার সাথে সাথে আলমাস টাওয়ারের সম্মুখ থেকে জোরপূর্বক সিয়াম আমাকে টেনে হিচরে শেখ রাসেল পার্কের মেইন গেইটের ভিতরে নিয়ে যায় এবং সিয়াম আমাকে প্রকাশ্যে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে।
সিয়ামের হাতের মোবাইল দিয়ে আমার মাথায় ও সারা শরীরে আঘাত করে। আমার সাথে থাকা ব্যবহৃত মোবাইল ও নগদ সাত হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
কোন প্রকার কোথায়ও অভিযোগ করলে, মারধরের ভিডিও রেকর্ডিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার মানসম্মানহানী করার হুমকী দিয়ে চলে যায়। আমার অবস্থা খারাপ দেখে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সিয়ামের বাবা প্রবাসে থাকায় নেশা গ্রস্থ ছেলের যত অপকর্ম রয়েছে সকল অপকর্ম ধামাচাপা দেয় সিয়ামের মা। এর আগে ২০২৩ সালে শহীদনগর হাসেম মিয়ার বাড়ির ২য় তলা ভাড়াটিয়া এক সন্তানের জননী রিতিকা নামে মহিলাকে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মহিলার ঘরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে মহিলাকে মারধরসহ শ্লীলতাহানি করে এই বখাটে।
এঘটনায় থানায় ৩০ হাজার টাকায় মিমাংশা করে। এছাড়া ২০১৯ সালে কাশিপুর হাট খোলা এলাকার ঐশি নামক এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের চেষ্টায় হাঠখোলার এলাকাবাসী আটক করে গণধোলাই দিয়ে সিয়ামের বাড়িতে খবর দিলে সেখান থেকেও সিয়ামের মা ও স্থানীয়রা ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
যেহেতু সিয়াম খারাপ প্রকৃতির নেশাগ্রস্থ ও নারী পিপাশু লোক তাই এলাকায় সাধারণ মানুষ দাবী করেন, ভবিষ্যতে মা-বোনেরা যেন সিয়ামের মতন বিকৃত মানুষের দ্বারা যৌন হয়রানী স্বীকার না হয় সেই ব্যবস্থা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন গ্রহণ করেন।
এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।