নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২৩ নভেম্বর ২০২৪

শহরের বাজারগুলোতে

শাকসবজির দাম স্থিতিশীল হলেও পেয়াজের দাম চওড়া

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০১:২০, ২০ আগস্ট ২০২১

শাকসবজির দাম স্থিতিশীল হলেও পেয়াজের দাম চওড়া

লকডাউন শিথিল হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ শহরের বাজারগুলোতে শাকসবজি আমদানী বেড়ে যাওয়ায় দামের দিক দিয়ে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে আগের থেকে কিছুটা চওড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু, পেয়াজ, আদা, রসুন। সবজি বিক্রেতারা জানান আলু, পেয়াজ, আদার দাম বাড়লেও সবজির বাজারে ক্রেতা সমাগম কম থাকায় দামের ক্ষেত্রে স্থিতিশীল রয়েছে। 


এদিকে গত মাসে কোরবানি ঈদ হওয়ায় মাংসের চাহিদা অনেকটা কম। তবে বেড়েছে মাছের চাহিদা ও মাছের দাম। তিনশত টাকার নিচে কোন মাছের দাম হাকানো যায় না। যেখানে প্রতি কেজি রুই ৩০০ টাকা ধরে বিক্রি হতো এখন তা বেড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। 


এছাড়া ও দেশীয় চিংড়ি ৮০০ টাকায়, রুপচান্দা মাঝারি সাইজ ৮০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, বোয়াল মাছ মানভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইলা মাছ ৬০০ টাকা,এছাড়া ও ইলিশ মাছ মানভেদে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। 


অন্য দিকে বয়লার মুরগীর দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি বয়লার মুরগী ১২০ টাকা, লাল লেয়ার ২২০ থেকে ২২৫ টাকা, তবে মুরগীর দাম না বাড়লেও বেড়েছে ডিমের দাম । একহালি দিমের দাম ৩৫ টাকা, দেশী মুরগীর ডিমের হালি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা,এছাড়া ও হাঁসের ডিম ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 


এরই মধ্যে খুচরা ও পাইকারি বাজারে চাউল, তেলের দাম বেড়েই চলেছে। শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার ঘুরে দেখাগেছে গত সপ্তাহ থেকে চলতি সপ্তাহে চাউলের দাম প্রতি কেজি পাঁচ থেকে সাত টাকা বেড়েছে। বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে ভোজ্য তেলের।


সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বাজারে বাসমতি চাউল কেজি ৬৫ টাকা। মিনিকেট চাউল প্রতি কেজি ৫৮ টাকা নাজির শাইল প্রতি কেজি ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি জাতের চাউল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 


এছাড়াও পোটল ৩০ টাকা, ঢেরশ ৩৫ টাকা, কহি ২০ টাকা, লতি ২০ টাকা, পেপে ২৫ টাকা,ম পুইশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কাচা মরিচের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেশী। 
সব মিলিয়ে আজ কাচা বাজার গুলোতে ঘুরে দেখাগেছে বেশীর ভাগ সবজির প্রতি কেজি ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 


দিগু বাজারের আওলাদ মিয়া জানান, বাজারে সবজির দাম স্হিতিশীল থাকলেও প্যাকেটজাত ও খোলা ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। পেকেট তেল এক কেজি ১৫০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা ও পাম সুপার ১৩০ টাকা ধরে বিক্রি করতে দেখা যায়। 


কালিবাজারের এক ক্রেতা জানান, সবজিসহ কিছু কিছু জিনিসের দাম কম থাকলে ও চাউল ও তেলের দাম নাগালের বাহিরে তাই নিত্য পন্যর দাম মানুষের হাতের নাগালে আনার জন্য সরকারের কিছু করা উচিত।
 

সম্পর্কিত বিষয়: