নারায়ণগঞ্জে সদর নিতাইগঞ্জে অবস্থিত জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল নারায়ণগঞ্জে একই পদে ২৫ বছর পার করলেন ডা: হুমায়ূন কবির সরকার। তিনি ৯ম গ্রেডের কর্মচারী হিসেবে ভিক্টোরিয়াতে যোগদান করে ১৯৯৯ সালের ২৮ জুন ইউনানী ডাক্তার হিসেবে।
অভিযোগ উঠেছে উপরস্থ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ২৫ বছর একই স্হানে কাটিয়েছেন তিনি। হাসপাতালে গড়ে তুলেছেন অসংখ্য দালাল চক্রের সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে পরীক্ষা বাণিজ্য করে সাধারণ রোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। ঔষধ বাণিজ্যের কারসাজির মধ্যেমেও হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২৮শে জুন ১৯৯৯ ইং সালে ইউনানী ৯ম গ্রেডে কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন ডাক্তার হুমায়ুন কবির। যোগদানের পর থেকে সরকারি ইউনিয়নী ঔষধসহ বিভিন্ন বরাদ্দ টাকা আত্মসাৎ করার গুঞ্জন রয়েছে ।
চিকিৎসা নিতে আসা সকল রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেন নিজের পালিত দালালদের মাধ্যমে হাসপাতালের আশে পাশের ডায়াগানস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
নি তার কিছু অনিবন্ধিত ইউনানী ঔষধ ও বিক্রি করেন যার কোন উঅজ নম্বর নাই যা সম্পূর্ণ রুপে অবৈধ।
তার সহযোগী মালির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে গার্ডেনার (মালি) আব্দুর রশিদকে (টিকিট) কাউন্টারে বসিয়ে সকল রোগীদের টিকেট কেটে তার কাছে পাঠান। আর সে এসব সহজ সরল নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের তার পছন্দ করা ইউনানী কোম্পানির ঔষুধ লিখে মাসে মোটা অংকের কমিশন হাতিয়ে নিয়ে অর্থ বাণিজ্য করেন তিনি।
সরজমিনে দেখা গেছে, তিনি বিভিন্ন রোগীকে তার পছন্দ করা কোম্পানির একই ওষুধ লিখে দিচ্ছেন। এভাবেই তিনি তার উপরস্থ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ঔষুধ বাণিজ্য, আর দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম করে কাটিয়েছেন ২৫ টি বছর।
আওয়ামী লীগ সরকার আমলে শামিম ওসমানের ভাগিনা পরিচয়ে দাপটের সঙ্গে এসব অনিয়ম দুর্নীতির সম্রাজ্য গড়ে তোলেন। আর এসব সবই করেছেন গডফাদার শামীম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে। তিনি থাকেন অভিজাত এলাকা রূপায়ণ আবাসিক স্যাটেলাইট টাউনে।
হায়দার আলী এক রোগী জানান, আমি আসছি ঠান্ডা জ্বরের জন্য আমাকে দীর্ঘ এক ঘন্টা লাইনে দাঁড় করিয়ে রেফার করে দিছেন দোতলা, শামসুন্নাহার নামে এক রুগী জানান আমি আসছি চর্ম রোগের চিকিৎসা করতে আধা ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আমাকে রেফার্ড করে দিয়েছে দু তালায় চর্ম বিভাগে ওইখানেও ২ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লাগছে। ইউনানী ডাক্তার আমাদেরকে ভোগান্তিতে ফেলিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরের সাথে সাথে যোগাযোগ করা হলে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। এবং একই পদে ২৫ বছর কিভাবে কাটিয়েছেন এর উত্তরে তিনি জানান সরকার রাখলে আমি কি করবো ।
তবে হাসপাতালের স্টাফদের মাধ্যমে জানা গেছে তিনি উপরোক্ত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এখানে কাটিয়েছেন ২৫ টি বছর।
এ বিষয়ে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের নবনিযুক্ত (আরএমও) ডাক্তার জহিরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গ্লোবাল টেলিভিশনকে জানান- আমি নতুন এসেছি এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার আবুল ফজল মোহাম্মদ মশিউর রহমান গ্লোবাল টেলিভিশনকে জানান বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আপনার মাধ্যমে জেনেছি তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি কিভাবে একই পদে ২৫ বছর পার করলেন।
