‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের আওতায় নাসিক এর স্বাস্থ্যবিভাগে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক ৩ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। গত রোববার থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০ জন ভলান্টিয়ার অংশগ্রহণ করে।
গতকাল সমাপ্তি দিনে অংশগ্রহণকারী ভলান্টিয়ারদের সনদ প্রদান করা হয়। হাসান আহমেদ এর সঞ্চালনায় সমাপনী দিনে উপস্থিত ছিলেন নাসিকের মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম, আয়াত এডুকেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী সুমিত বণিক, মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের ম্যানেজার শফিকুল জামান সৈকত প্রমুখ।
সভায় উপস্থাপিত তথ্য মতে, দেশে প্রায় ৭ লাখ মানুষের প্রশমন সেবা বা প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রয়োজন। দেশের মানুষের বয়স কাঠামোর পরিবর্তনের কারণে এই সেবার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রকে আরও এগিয়ে আসতে হবে।
হসপিস এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার বলতে বোঝায় দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা বা মৃত্যুঝুঁকিপূর্ণ অসুস্থতা যেমন- ক্যান্সারে ভুগছে এমন রোগী ও তার পরিবারের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক সুরক্ষায় সাহায্য করা বা যত্ন নেওয়া।
বিশ্ব হস্পিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস উদযাপনে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবক ও মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মীরা। নারায়ণগঞ্জ শহরকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারবান্ধব একটি শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সভায় সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, তিন বছর মেয়াদী ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ এই পাইলট প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে সংযুক্তিকরণ। নিরাময় অযোগ্য, জীবন সীমিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের জীবনের প্রান্তিক সময়টুকু ভোগান্তি-যন্ত্রণাবিহীন এবং নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা।
সেইসাথে প্রকল্পটি আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক কষ্টগুলো কমিয়ে জীবনের গুণগত মান উন্নয়ন করার লক্ষ্যে কাজ করছে।