বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাজমুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটির কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে।
এই কার্যক্রম যেন চলমান হয়, এটার জন্য টেন্ডার ফাইনাল পর্যায়ে আছে। এর সাথে নতুন করে আরও কিছু কাজ সংযোগ করা হয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই বন্ধ হওয়া কাজ পুনরায় চালু হবে।
নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের জন্যই এই প্রকল্পটা হাতে নেয়া হয়েছে। যেখানে ১৬ জোড়া ট্রেন চলতো, সেখানে যাতে আরও উন্নতি করতে পারি। আমাদের কাজের মধ্যে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। রুট ঠিক না করলে ট্রেন ঠিকমতো চলতেও পারবে না আবার ট্রেনের সক্ষমতাও বাড়ানো যাবে না। তাই আমরা লাইনের প্রতি গুরুত্বারোপ করছি।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ রেল ষ্টেশনে নির্মাণ প্রকল্পটির কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, ট্রেনের লাইনটা আজকে পরিদর্শন করলাম। কিছু ক্ষেত্রে ত্রুটি আছে। তাৎক্ষনিকভাবেই সমাধানের চেষ্টা করছি। প্রকল্পের কাজটা শেষ হলে নারায়ণগঞ্জবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করতে পারবে। ধাপে ধাপে নানা প্রক্রিয়ায় ছয় মাসের মধ্যে সমাধানের দিকে যাবে আশা করছি।
এরআগে চায়না কোম্পানির যারা ছিলো, তাদের ক্যাপাসিটি অথবা তারা কাজটা সঠিকভাবে করতে না পারার অভিজ্ঞতায় ঘাটতি ছিল। তারা আংশিক কাজ করে চলে গেছে। আমাদের আবার নতুন করে বাকি কাজের পুনঃদরপত্র আহ্বান করতে হয়েছে।
এছাড়াও যাত্রীদের সবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রেলওয়ের জমি অবৈধ দখলে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, রেলওয়ে অনেক জমি আছে- জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন এলাকায়। বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা গুলো উচ্ছেদ করার।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ৩৭৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ শুরুর পরে কয়েকদফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই ফিরে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না কোম্পানী ‘পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়না (পিসিসিসি)।