নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘এক পয়সাও আর চাঁদা দিবো না,  চাঁদার টাকা ফেরত দিতে হবে’

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:১৬:৫৩, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘এক পয়সাও আর চাঁদা দিবো না,  চাঁদার টাকা ফেরত দিতে হবে’

নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর নবনির্বাচিত সভাপতি মোহম্মদ মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, ব্যবসায়ীদের উপর সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের হুমকি, ধামকি চলছে। গত কয়েকদিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ চেম্বার নিজেরাও আক্রান্ত। দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছে, ৩ লাখ টাকা দিয়ে মিটিয়েছি। সাত লাখ টাকার জন্য চাপ আছে। ভয় ভীতি দেখিয়ে রপ্তানি মুখি তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমই এর কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছে। এক পয়সাও আর চাঁদা দিবো না চাঁদার টাকা ফেরত দিতে হবে। চাঁদা দিয়েছি চাঁদা ফেরত চাই। না হলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শহীদ মিনারে লাল কার্ড দেখানো হবে। প্রয়োজনে শহর থেকে বের করে দেব। দলীয় প্রধানদের লিখিত অভিযোগ দেব। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের নারায়ণগঞ্জে কোন স্থান নেই। 

 

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

 

মাসুদুজ্জামান বলেন, কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন কোনোভাবেই চাঁদাবাজি করা যাবে না, দখল করা যাবে না। তারা বহু চেষ্টা করছে কিন্তু স্থানীয় নেতারা মঞ্চে উঠে বলছে কোনোভাবে চাঁদা দেবেন না। আমাদের বলবেন আমরা ব্যবস্থা নেব। এসব রাজনৈতিক বক্তব্য শেষ করেই মঞ্চ থেকে নেমেই ফোন করে বলে ভাই জুটটা দিলেন না? এমন শত শত ফোন আমি পেয়েছি।


তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়িরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তবে পরিস্থিতির শিকার কখনো কখনো। স্বাধীনতার পর থেকে ব্যবসায়িরা কোন না কোন ভাবে নির্যাতিত হয়েছে। আমরা শুধু ভয়ে থাকি। কিন্তু দিন শেষে যখন পরিবর্তন হয় তখর আবার আমাদের উপর দিয়ে ঝড় ঝাপটা যায়। 


রপ্তানি মুখি তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমই এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, গার্মেন্টস শিল্পে একটি শ্রেণী অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। শ্রমিক ভাইদের বলব কারও উস্কানিতে পা দেবেন না। এর ফলে আপনারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা বিদেশীদের দ্বারা লালিত পালিত হয়ে কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। 

 

তিনি আরও বলেন, শ্রীলংকায় যখন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হল তখন সেখান থেকে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশে চলে আসে। বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করে কেউ তার দেশে হয়ত এটা নিয়ে যেতে চাইছে। আমি দেশের নাম উল্লেখ করলাম না।

 

তিনি বলেন, গতকাল (শুক্রবার) ইন্ডিয়ার একটি পত্রিকায় এ ব্যাপারে নিউজ ছাপা হয়েছে। তাদের দেশে অনেক অর্ডার যাচ্ছে। তারা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। তাই আমাদের সতর্ক হতে হবে। বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টসে অরাজকতা করা হচ্ছে। সেসমস্ত এলাকার রাজনৈতিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের এই ক্রান্তিলগ্নে ভূমিকা পালন করতে হবে।


মোহাম্মদ হাতেম বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের যে কোন যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া হবে।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। 

সম্পর্কিত বিষয়: