নসিব পরিবহন আর বন্ধু পরিবহন এক নয়। বন্ধু পরিবহন দখল করতে নসিব পরিবহনের আশরাফ গংরা পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ বন্ধু পরিবহন লিমিটেডের সদস্য সচিব মো. মুরাদ হোসেন। গতকাল রবিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ১৭ বছর পর এখন নসিব পরিবহনের থেকে অভিযোগ তুলছেন তাদের কাছে আমরা চাঁদা চেয়েছি। আমরা বলতে চাই তারা বন্ধু পরিবহন দখলে পায়তারায় মেতে উঠেছে।
বন্ধু কোম্পানীটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ৯ (নয়) সদস্য বিশিষ্ট চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাকী ৭ জন পরিচালক নিয়ে জয়েন্ট স্টক কোম্পানী কর্তৃক নিবন্ধন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স করা আছে।
আমাদের গাড়ীগুলি সরকারী কর ও ফি পরোধ করে নারায়ণগঞ্জ টু চিটাগাং রোড চলাচল করে। আমাদের কোম্পানীটি নারায়ণগঞ্জ আরটিসি কর্তৃক তালিকাভুক্ত। আমাদের কোম্পানীর গাড়ীগুলি কোম্পানী গঠনের পর থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত উক্ত রুটে চলমান আছে।
পরিচালক সামসুল হক জানান, একটি কুচক্রী মহল নারায়ণগঞ্জ বন্ধু পরিবহন লিমিটেড এর সাথে নসিব পরিবহনের নাম জুড়ে বিভিন্ন অপ্রপচার করছে যা সত্য না। নসিব পরিবহন লিঃ এর চেয়ারম্যান সৈয়দ আশরাফুল আওয়াল জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। নসিব পরিবহন লিঃ ২০০৫ সালে গঠিত হয়ে চলাচল শুরু করে।
তাদের গাড়ি অধিক পুরাতন ও মানসম্মত না হওয়ায় তৎকালীন চেয়ারম্যান নূর হোসেন ২০১৩ সালে এবিএস নামক মানসম্মত গাড়ি চালু করিলে নসিব পরিবহন ধীরে ধীরে ২০১৪ সালে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এবার নসিব পরিবহনের সৈয়দ আশরাফুল আওয়াল, আলামিন, তোফাজ্জল মুন্সী, মোঃ আসলাম গং আমাদের নারায়ণগঞ্জ বন্ধু পরিবহন লিমিটেড এর অফিসটি দখলের পায়তারা করিতেছে।
নসিব পরিবহন চেয়ারম্যান মোঃ দিদারুল ইসলাম, পরিচালক মোঃ সুলতান, মোঃ রুবেল, মোঃ তাজুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম প্রকৃত নারায়ণগঞ্জ বন্ধু পরিবহন লিমিটেড এর পরিচালনা পরিষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমরা কারো রোড পারমিট ছিনিয়ে নেয় নাই, সরকারি নিয়ম মেনে রোড পারমিট করা আছে।