বিক্ষোভে উত্তাল নারায়ণগঞ্জ শহর। এক দফা দাবীতে সকাল থেকে হাজার হাজার আন্দোলনকারী শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে অভিভাকমহল ও সাধারণ মানুষ।
এসময় আন্দোলনকারীরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে,’ ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত,’ ‘স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে,’ ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো,’ ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, অভ্যুত্থান’, ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’ ‘ভোট চোর ভোট শেখ হাসিনা ভোট চোর’ ‘পদত্যাগ পদত্যাগ, শেখ হাসিনার পদত্যাগ’ এমন নানা স্লোগান দেয়। মিছিলে মিছিলে প্রকম্বিত হয়ে উঠছে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ার আশপাশ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না। আমাদের ভাইদের রক্ত বৃথা যাবে না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি। সরকারের পদত্যাগ একমাত্র সমাধান। কারণ আমাদের দাবী না মেনে সরকার গুলি চালিয়ে নিরপরাধ ভাইদের হত্যা করেছে। এখন আর কোন আলোচনা নাই।
আরমান কবির নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা তো শান্তিতপূর্ণভাবেই রাস্তায় নেমেছি। ১৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের কাডাররা লাঠি, লোহার রড, পাইপ, রাম দা, চাপাতি নিয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে। আমাদের অনেক ভাই আহত হয়েছে সেদিন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যারা আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছে বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের খোঁজ খবর নিয়ে হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও হুমকি-ধামকি ও মারধর করেছে।
এদিকে আগে চাষাড়া এলাকায় পূর্ব থেকেই আইনশংখলাবাহিনীর কঠোর অবস্থান দেখা যেতো। কিন্তু আজ রোববার তাদের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
এদিকে আন্দোলকারীদের অবস্থানের কারণে নারায়ণগঞ্জের সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সারাদেশের সঙ্গে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোললন আজ থেকে শুরু হয়েছে।