তীব্র গরমে যখন জনজীবন অতিষ্ঠ তখন নারায়ণগঞ্জ শহরবাসীর মাঝে খাবারের বিশুদ্ধ সুপেয় পানি নিয়ে হাজির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টিম খোরশেদ।
শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দিনমজুর, খেটে পাওয়া মানুষ, পথচারী ও সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি খাওয়াচ্ছেন তারা। টিম খোরশেদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যতদিন তাপদাহ থাকবে তারাও ততদিন এই উদ্যেগ অব্যাহত রাখবেন।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্পটে দেখা গেছে তাদের পানি বিতরণ করতে। গরমে পথে চলাচলকারী মানুষ তৃষ্ণা মেটাতে আগ্রহ নিয়ে পান করছেন এ পানি।
পথচারী রোকেয়া বেগম তার মেয়েকে নিয়ে পানি পান করে জানান, আমরা অনেকদূর হেঁটেছি। আরো অনেকদূর হেঁটে বাড়ি ফিরব। কাজে বের হয়েছিলাম। এই গরমে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে তবে কোথায় সেভাবে বিশুদ্ধ পানি না পাওয়ায় পান করিনি।
যখন টিম খোরশেদের পানি বিতরণ দেখলাম তখন পান করলাম কারণ করোনাকালীন সময় থেকে তাদের সংগঠনের প্রতি আস্থা আছে তারা মানুষের উপকার করে।
একই কথা বলেন রিকশাচালক শোভন। তিনি জানান, রোদে রিকশা চালিয়ে গলা শুকিয়ে গিয়েছিল। এখানে পানি দিচ্ছে দেখে পান করলাম। এখন ভালো লাগছে। গরমটা বেশী পড়ে গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান জানান, প্রচন্ড গরম, হিট স্ট্রোকের একটা প্রকোপ আছে তাই শহরবাসী অবশ্যই ঢিলেঢালা সাদা কাপড় পরিধান করবে, পর্যাপ্ত পানি খাবে এবং বিনা প্রয়োজনে বাইরে যাবেনা।
টিম খোরশেদের টিম লিডার কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, আমরা গত কয়েকদিনের গরমে দেখলাম শহরের পথচারী, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাদের এই গরমে বেশী বেশী পানি পান করতে উপদেশ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তবে পথে চলাচলরত অবস্থায় পানি পাওয়াটা অনেক সময় কষ্টকর হয়ে উঠে। আর পেলেও সেটি বিশুদ্ধ কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়না। আবার গরমে পানিবাহিত রোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে আমরা মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে হাজির হয়েছি। এখানে মানুষ ওয়ান টাইম গ্লাসে পানি পানও করতে পারবে আবার বোতলে ভরে নিয়েও যেতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের এখন সাথে বোতল ভর্তি পানি রাখা উচিৎ। আর সমাজের সামর্থ্যবানদের আহবান জানাচ্ছি যার যার বাড়ির সামনে সম্ভব হলে বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য।