নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

২৪ নভেম্বর ২০২৪

হকার বসলে সবখানে বসবে, না বসলে কোথাও বসবে না : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:৪৪, ৮ এপ্রিল ২০২৪

হকার বসলে সবখানে বসবে, না বসলে কোথাও বসবে না : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, মতবিনিময় করতে গেলে যাদের এখানে উপস্থিত থাকতে হবে, তারাই এখানে নাই। এখানে আলোচনার বিষয়টি বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের যানজট সমস্যা নিরসন।

আমার কাছে তো মনে হয়, জেলায় যানজট ছাড়া আর কোনো সমস্যাই নাই। আমি স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড লোক। এখানে যানজটই একমাত্র সমস্যা, আর কোনো সমস্যাই নেই-এটা আমি মেনে নিবো না। আরো অনেক সমস্যা আছে। আলোচনা হলে সবগুলো নিয়েই হওয়া উচিত।

যানজট নিয়ে সিটি করপোরেশন তাদের প্রয়োজনীয় তাগিদপত্র জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কাছে দিতে পারেন। আমার বড় ভাই যানজট নিরসনে ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা নিয়ে। আমার প্রশ্ন হলো, টাকা কেন দিতে হবে! সরকার তো টাকা দেয়। এটা তো এমপির দায়িত্ব না।  

আমি তখনও বলেছি, এখনও বলি- হকার বসলে সবখানে বসবে, না বসলে কোথাও বসবে না। আমি মানুষের পেটে লাথি দিতে চাই না। আমার মনে হয়, মধ্যিখান থেকে একটা পন্থা বের হবে। সেটি সিটি করপোরেশনেরই বের করা উচিত।

নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে শহরের নাগরিক সমস্যা নিরসনে মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) শহরের চাষাঢ়ায় বিকেএমইএ ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বহুল আলোচিত হকার সমস্যা ছাড়াও ডিএনডি প্রজেক্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

এছাড়াও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক ১২০ ফিট চওড়া হচ্ছে। একেএম শামসুজ্জোহা সড়ক হচ্ছে, নাগিনা জোহা সড়ক হয়েছে। আমাদের ডিএনডি প্রজেক্ট জুন মাসে শেষ হবে। কিন্তু লোকাল ড্রেনেজগুলো কানেক্টেড করতে হবে ডিএনডির সাথে, তা না হলে পানি সরতে পারবে না।

এ ব্যাপারে মেয়রকে আমি লিখিতভাবে জানাবো। আরেকটি সুখবর দিয়ে রাখি। নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের পাশে ২০০ কোটি টাকার একটি সম্পত্তি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি কাগজ জমা দিয়েছি এ বিষছে।

সেখানে যাতে হার্ট ইনস্টিটিউট, ট্রমা সেন্টার, নিউরো সেন্টার যাতে হছ। সেইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ যাতে দ্রুত হয় সেটিও বলেছি। আশা করি আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করবেন। এমনভাবে যেন কাজ করে যেতে পারি যাতে মৃত্যুর পরে মানুষ দোয়া করেন। 

এদিকে মেয়র আইভীর বক্তব্য শেষে ফের মাইক্রোফোন হাতে নেন শামীম ওসমান। এই পর্যায়ে তিনি বলেন, রাজনীতি করতে এসেছি সাধারণ গরিব মানুষের জন্য। মানুষের পেটে লাথি দিতে চাই না। জোর খাটিয়ে কোনো কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। যদি আমি আশ্রয় দিতাম তাহলে তারা একজায়গায় বসতো। 

আজকেও আমি তাদেরকে ধমক দিয়ে এসেছি যেন তারা ওদিকে না যাছ। আজকে আমরা যাদের ব্যাপারে কথা বলছি, তারাও কিন্তু মানুখ। কে দেশী আর কে বিদেশী এসব কথা আমার ভালো লাগে না। নারায়ণগঞ্জে অন্য জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ লোক এসে কাজ করছে। একটা বাচ্চা যখন তার বাবাকে খাবার দিতে পারেন না, তার কষ্টটা আমি ২০০১ সালের পরে বুঝেছি। তাই এই ধরনের কোনো কাজ করা আমার সম্ভব না।

নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, সাবেক এমপি হোসেনে আরা বাবলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, নাসিক কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, মাকসুদুর আলম খন্দকার খোরশেদ, অসিত বরণ, মনিরুজ্জামান মনির, বিভা হাসান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ মহসীন মিয়া, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সহ অনেকেই।